ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
Anis Death
কলকাতা : কেটে গেছে তিন দিন এখনো আনিস খাঁন হত্যাকান্ডের সঙ্গে জড়িত একজন দুস্ক়তি ও ধরা পড়ল না। এই হত্যাকান্ডের দোষীদের গ্রেপ্তার ও কঠোর শাস্তির দাবীতে কলকাতার পথে নামল কলকাতার বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ারা। পার্কসার্কাসে আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারা বিশ্ববিদ্যালয়ের সামনে থেকে প্রতিবাদ মিছিল শুরু করে। তাতে পা মিলিয়েছেন বিভিন্ন কলেজের পড়ুয়ার। অন্যদিকে যাদবপুর বিশ্ববিদ্যালয়ের পড়ুয়ারও প্রতিবাদে পথে নামে।
পড়ুয়াদের মহাকরণ অভিযানে বাধা Anis Death
ডোরিনা ক্রসিংয়ের সামনে পড়ুয়াদের পথ আটকাতে আটকাতে মোতায়েন ছিল বিশাল পুলিশবাহিনী । পার্ক সার্কাসে পুলিশি প্রতিরোধের মুখে পড়েন পড়ুয়ারা। পথ আটকানোর কারণে পার্ক সার্কাস-এ পৌঁছে রাস্তায় শুয়ে পড়ে শ্লোগান দিয়ে বিক্ষোভও দেখান পড়ুয়ারা। মল্লিক বাজার, মৌলালি হয়ে মহাকরণের দিকে যাওয়ার কথা এই মিছিলের। এই মিছিলের ফলে তীব্র যানজটের মুখেও পডে়ছেন নিত্যযাত্রীরা। গ্রেফতার করা হয় বিক্ষোভকারীদের। পরিস্থিতি শান্ত হয়।
আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে সাসপেন্ড করেছে সিট Anis Death
এদিকে আনিস খান কাণ্ডের তদন্তে নেমেই সিট সাসপেন্ড করেছে আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীকে। তবে সিট তদন্ত সত্ত্বেও সিবিআই তদন্তে অনড় আনিসের পরিবার। তাদের বক্তব্য ছেলেকে মেরে দিয়ে এবার সাসপেন্ড করে কি হবে! আমতা থানার ৩ পুলিশকর্মীর সাসপেনশনের পরেও ক্ষোভে ফুঁসছে আনিস খানের পরিবার।
আনিশের বাবার সিটের তদন্তকারী আধিকারিকেদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার Anis Death
আজ আনিস খানের বাড়িতে সিটের তদন্তকারী আধিকারিকেরা। কিন্তু তাদের সঙ্গে কথা বলতে অস্বীকার করেন আনিস খানের বাবা সালেম খান। এ দিন তাঁদের বাড়িতে যান সিটের দুই সদস্য ডিআইজি (সিআইডি অপারেশন) মিরাজ খালিদ এবং ব্যারাকপুর পুলিশ কমিশনারেটের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার ধ্রুবজ্যোতি দে। তাঁরা আনিসের বাবার সঙ্গে কথা বলে মূল ঘটনা সম্পর্কে জানতে চান। কিন্তু, আনিসের বাবা পরিস্কার জানিয়ে দেন যে, তিনি রাজ্য পুলিশের সঙ্গে কোনও কথা বলবেন না। সিবিআই-এর সঙ্গেই কথা বলতে চাইছেন। আনিশের বাবা সিটের আধিকারিকদের বলেন , ‘‘দিদিই আমাদের মুখ্যমন্ত্রী, ওঁকে অমান্য করব না। কিন্তু আপনাদের কেন পাঠাচ্ছেন?’’ অন্যদিকে আনিশের দাদা পরিস্কার জানিয়ে দেন, ‘‘আপনাদের কেন পাঠানো হচ্ছে? আমরা সিবিআই তদন্ত চাই জেনেও দিদি কেন সিবিআই করাচ্ছেন না। পুলিশ বা সিট-এ আমাদের বিশ্বাস নেই। পুলিশের উপর বিশ্বাস চলে গিয়েছে।’’