শম্ভুনাথ মণ্ডল, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Villagers obstruction administration could not demolish house সোমবার সকাল ১১টা নাগাদ হঠাৎই শতাধিক পুলিশ ও কোর্টের লোকজন হয় পাথরপ্রতিমা ব্লকের দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের পশ্চিম শ্রীধপুর এলাকায়। একসঙ্গে এত পুলিশকে হতভম্ব হয়ে যান গ্ৰামবাসীরা। শুরু হয় নানান কানাঘুষো। সব রহস্যের সমাধান হয় কিছুক্ষণ পরেই। স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, পঞ্চানন মন্ডল নামে এক ব্যক্তি এই জায়গাটি নিয়ে কেস করেছিলেন। দীর্ঘ ৪৫ বছরের লড়াইয়ের পরে তিনি জিতেছেন। তারপরেই কোর্টের তরফে এলাকায় যে সমস্ত ঘরবাড়ি রয়েছে সেগুলি ভাঙার নির্দেশ দেওয়া হয়।
প্রতিরোধের মুখে নতি স্বীকার প্রশাসনের Villagers obstruction administration could not demolish house
খবর চাউর হতেই দলে দলে লোকজন এলাকায় জমা হয়। যাদের ঘর বাড়ি কোর্ট নির্দেশিত জায়গার মধ্যে পড়ে তারা কান্নায় ভেঙে পড়ে়ন। আগে থেকে কোনও রকম কোনো নোটিশ ছাড়াই কীভাবে প্রশাসনের লোকজন বসত বাড়ি ভাঙতে পারে,তা নিয়ে গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে প্রশাসনিক কর্মকর্তাদের শুরু হয় বাকযুদ্ধ। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে যান দিগম্বরপুর গ্রাম পঞ্চায়েতের সদস্য তথা সঞ্চালক গৌরহরি মাল। তিনি অনুরোধ করেন যেন এক সপ্তাহ সময় দেওয়া হয় কোর্টের অনুমোদন প্রাপ্ত জায়গার বাসিন্দাদের। কিন্তু কোর্টের থেকে আসা কর্ম কর্তারা কোন রকম সময় দিতে রাজি না হওয়ায় ফের শুরু হয় গ্ৰামবাসীদের সঙ্গে বচশা। প্রতিবাদে সামিল হন এলাকার মহিলারাও। শেষ পর্যন্ত গ্ৰামবাসীদের প্রতিরোধের মুখে ফিরে যেতে বাধ্য হন প্রশাসনিক কর্তারা।
____
Published by Julekha Nasrin