মমতা রানি, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Source of vitamin E ভিটামিন হলো এমন একটি পুষ্টি উপাদান যা মানবশরীরের জন্য অপরিহার্য। শারীরিক বৃদ্ধি, রোগ প্রতিরোধ এবং সুরক্ষায় ভিটামিনের ভূমিকা অপরিসীম। ভিটামিন সমূহের মধ্যে গুরুত্বপূর্ণ একটি হলো ভিটামিন-ই। লিভার, যকৃত, অগ্ন্যাশয়ের বিভিন্ন রোগ প্রতিরোধে ভিটামিন-ই সহায়তা করে। স্নায়ু ও মাংসপেশীর কার্যক্ষমতা বজায় রাখতেও ভিটামিন-ই সাহায্য করে। ভিটামিন-ই অত্যন্ত উন্নত মানের অ্যান্টিঅক্সিডেন্ট। বিভিন্ন ধরনের ক্যান্সার প্রতিরোধেও ভিটামিন-ই সহায়তা করে। ত্বকের নানা ধরনের সমস্যা ও চুল পড়া রোধে ভিটামিন-ই-এর ভূমিকা অপরিসীম।
ভিটামিন- ই সমৃদ্ধ কয়েকটি খাবার সম্পর্কে জেনে রাখুন Source of vitamin E
পালং শাক
পালং শাককে আয়রনের উৎস হিসেবে বিবেচনা করা হলেও এটি ফাইবার এবং ভিটামিন ই সমৃদ্ধ। নিয়মিত পালং শাক খেলে শরীরে ভিটামিন ই-এর অভাব সহজেই মেটানো যায়।
সূর্যমুখী বীজ
ভিটামিন ই জাতীয় খাবার এর মধ্যে সূর্যমুখী বীজ অন্যতম। এর বীজ থেকে তৈরি তেল নানা ধরনের খাদ্য সামগ্রীতে ব্যাবহার করা হয়ে থাকে। সুর্যমুখী তেলে ক্ষতিকর কোলেস্টেরল নেই বললেই চলে। প্রতি গ্রাম সূর্যমুখী বীজে ৩৫.১৭ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই থাকে। তাই আপনি চাইলেই আপনার ভিটামিন ই এর ঘাটতি মেটাতে সূর্যমুখী তেল গ্রহণ করতে পারেন।
আরও পড়ুন : Disadvantages of drinking water while eating খাওয়ার সময় জল পান করা নৈব নৈব চ!
আরও পড়ুন : Benefits of coconut water ডাবের জলের কার্যকারিতা সম্পর্কে জানুন
ব্রকলি
স্বাস্থ্য উপকারিতার কারণে ব্রকোলির ব্যবহার দিন দিন বাড়ছে। স্যালাড বা সবজি হিসেবেও খেতে পারেন। এটি ভিটামিন ই সমৃদ্ধ।
কাঠ বাদাম
নানা ধরনের বাদাম বাজারে পাওয়া গেলেও কাঠবাদামের চাহিদা একটু বেশি। প্রতি ১০০ গ্রাম কাঠবাদামে আপনি পাবেন প্রায় ২৫৬ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। তাই আপনার ভিটামিন ই এর ঘাটতি পূরণ করতে নিয়মিত একমুঠো বাদাম খেতে পারেন।
পেস্তা বাদাম
কাঠবাদামের পরেই রয়েছে পেস্তা বাদাম। প্রতি ১০০ গ্রাম পেস্তা বাদামে রয়েছে ৯.৩৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই। কাঠবাদামের মতোই পেস্তা বাদামও আমাদের দেশে বিভিন্ন খাবার তৈরির উপকরণ হিসেবে ব্যবহার করা হয়।
চিনা বাদাম
চিনাবাদাম প্রায় প্রতিটি বাড়িতে ব্যবহৃত হয়। সবজির সাথে চিনাবাদাম তেলও খাওয়া হয়। আমি আপনাকে বলে রাখি যে চিনাবাদাম শুধুমাত্র সুস্বাদু নয় স্বাস্থ্যের জন্যও উপকারী। এটি ভিটামিন ই এর একটি ভালো উৎস হিসেবে বিবেচিত হয়।
সয়াবিন তেল
আপনি হয়তো জানেন সয়াবিন তেলে উন্নত মানের ভিটামিন ই থাকে। প্রতি ১০০ গ্রাম সয়াবিন তেলে ৫ মিলিগ্রাম পর্যন্ত ভিটামিন ই থাকে। এই তেল রান্নার সাথে আমরা প্রতিদিনই খেয়ে থাকি। তাই আপনি চাইলে ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবার হিসেবে এটি গ্রহণ করতে পারেন।
পেঁপে
পাচনতন্ত্র সুস্থ রাখতে এবং ওজন কমাতে সাধারণত পেঁপে খাওয়া হয়। কিন্তু পেঁপেতে রয়েছে প্রচুর পরিমাণে ভিটামিন ই, যা আমাদের শরীরে ভিটামিন ই-এর ঘাটতি অনেকাংশে দূর করতে পারে।
অ্যাভোকাডো
অ্যাভোকাডো পটাসিয়ামের পাশাপাশি উচ্চ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ রয়েছে। যা আমাদের হার্ট অ্যাটাক এবং স্ট্রোকের সম্ভবনা অনেকাংশ হ্রাস করে। এতে উপস্থিত ভিটামিন ই আমাদের শরীরের খারাপ কোলেস্টেরল সরিয়ে দেহে রক্ত সঞ্চালন স্বাভাবিক রাখে। ১০০ গ্রাম অ্যাভোকাডোয় প্রায় ২.১ মিলিগ্রাম ভিটামিন রয়েছে যা আমাদের নিয়মিত ভিটামিনের অভাব পূরণ করে।
লাল লঙ্কা গুঁড়ো
জেনে একটু অবাকই হতে পারেন, সর্বোচ্চ ভিটামিন ই সমৃদ্ধ খাবারের তালিকায় স্থান দখল করে আছে লাল লঙ্কা গুঁড়ো! প্রতি ১০০ গ্রাম লাল লঙ্কা গুঁড়োয় রয়েছে ২৯.৮৩ মিলিগ্রাম ভিটামিন ই।
____
Published by Julekha Nasrin