Don’t use fridge for these equipment ফ্রিজে এই সমস্ত জিনিস রাখা থেকে বিরত থাকুন
নীলিমা সারগোধা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা : করোনা কারণে অধিকাংশ মানুষই এখন ঘরবন্দি। বার বার বাজারে যাওয়ার ভয়ে এবং ভিড় এড়াতে অনেকে রান্নার প্রয়োজনীয় উপকরণ ও খাদ্যসামগ্রী ফ্রিজে সংরক্ষণ করে রেখে দিচ্ছেন।আধুনিক জীবন যাত্রায় ফ্রিজের ব্যবহার কতটা তা আমাদের সকলেরই জানা ।আপনি যদি দীর্ঘ সময়ের জন্য ফল এবং শাকসবজি সংরক্ষণ করতে চান তবে আপনি সেগুলি কেবল ফ্রিজে সংরক্ষণ করতে পারেন। কারণ রেফ্রিজারেটরে ফল ও শাকসবজি সংরক্ষণ করলে এগুলো দীর্ঘক্ষণ সতেজ থাকে, দ্রুত নষ্ট হয় না। অনেক সময় আমরা এক সপ্তাহের জন্য শাকসবজি বা ফল এনে ফ্রিজে সংরক্ষণ করি।
কিন্তু আমরা খুব লোকই এটা জানি যে, কিছু খাবার ও ফল আছে যেগুলি ফ্রিজে রাখলে স্বাদ ও পুষ্টিগুন নষ্ট হয়। আবার, সব ফল ফ্রিজে রাখা যায় না। ভুল করে রেখে দিলে তা আমাদের স্বাস্থ্যের উপর বিরূপ প্রভাব ফেলে। কিছু মরশুমি ফল আছে যেগুলো ফ্রিজে রাখলে স্বাদও বদলে যায়।
জেনে নিন কোন কোন ফল ফ্রিজে রেখে খাওয়া উচিত নয়
কলা
কলা এমন একটি ফল যা সর্বত্র পাওয়া যায় । কারণ কলা উপ-গ্রীষ্মমন্ডলীয় অঞ্চলের ফল। ফলে উচ্চ তাপেও কলা নষ্ট হয় না। কলা কয়েকদিন সংরক্ষণ করে ফ্রিজে রাখতে চাইলে ফ্রিজ ঠান্ডা হওয়ার কারণে দ্রুত নষ্ট হয়ে যায়। কারণ ফ্রিজের ঠাণ্ডা কলাকে কালো করে দেয়, যার কারণে সেগুলো দ্রুত পচে যায়।
কমলা
কমলালেবু ফ্রিজে রাখা উচিত নয়, বিশেষ করে শীতের সময়। কারণ যেসব ফল ও সবজিতে সাইট্রিক অ্যাসিড পাওয়া যায়, সেগুলো ফ্রিজের ঠান্ডা সহ্য করতে পারে না। তাই ফ্রিজে কমলা রাখার দরকার নেই। কারণ ফ্রিজে রেখে কমলা খেলে ঠান্ডা লাগতেে পারে। কমলার মতো লেবু ও মৌসুম্বীও ফ্রিজে রাখা উচিত নয়।
আপেল
আপেল ফ্রিজে রাখা উচিত নয়। কারণ আপেলে সক্রিয় এনজাইম থাকে, যা শীতল জায়গায় আপেলকে দ্রুত পাকতে দেয়। গরমে ঠাণ্ডা করার জন্য আপেল ফ্রিজে রাখলে কাগজে মুড়িয়ে ফ্রিজে রাখুন। না হলে আপেল খারাপ হয়ে যাবে।
টমেটো
কাঁচা বা পাকা কোনো টমেটোই ফ্রিজে রাখবেন না। টমেটো কাঁচা হলে বাইরে এমন জায়গায় রাখুন, যেখানে আলো–বাতাস চলাচল করতে পারে। আর পাকা টমেটো হলে সালাদ করে, রান্না করে বা টমেটো কেচাপ বানিয়ে খেয়ে ফেলুন। টমেটো কেচাপও ফ্রিজে রাখবেন না। স্বাভাবিক তাপমাত্রাতেই তিন মাস ভালো থাকবে।
তরমুজ
তরমুজ ও খরমুজ ফ্রিজে রাখবেন না। এতে এগুলোর অ্যান্টি–অক্সিডেন্ট দ্রুত ভেঙে যায়। তবে তরমুজ কেটে চার ঘণ্টা পর্যন্ত ফ্রিজে রেখে খাওয়া যাবে। এর বেশি না রাখাই ভালো।
আম
কাঁচা আম ফ্রিজে রাখলে পাকতে সময় নেয়। তাই কাঁচা আম পাকাতে চাইলে ফ্রিজে না রাখাই ভালো। পাকা আম টুকরো করে কেটে ফ্রিজে রেখে দিলে তা কালো হয়ে যায়। দেখতে খারাপ লাগে।
অ্যাভোকাডো
এক অদ্ভুত ফল, যা বেশি পাকলে খাওয়া যায় না। আবার কাঁচা থাকলে কামড়ালে আলুর মতো লাগে। তাই সঠিক সময়ের অ্যাভোকাডো খাওয়া বেশ মুশকিল। চেষ্টা করুন ফ্রিজে অ্যাভোকাডো না রাখতে, তবে খুব বেশি পেকে গেল অথচ আপনি খেতে পারছেন না তখনই অ্যাভোকাডোকে এক দুদিনের জন্য ফ্র্রিজে ঠাঁই দিতেই পারেন।
বেরি
যেদিন খাবেন, সেদিনই কিনবেন। নইলে সমস্যা। বলছি বেরি জাতীয় ফলের কথা। ফ্রিজে রাখলে তাতে যে জোলোভাব আসে, তাতে বেশিদিন ঠিক থাকেনা বেরি। তাই একেবারে এক ক্রেট বেরি খুলে ফেলবেন না। নইলে ফ্রিজে রাখতে অসুবিধা হবে। তার স্বাদও চলে যাবে।
শসা
ঠাণ্ডা শসার টুকরো কেবল চোখের জন্য ব্যবহার করুন। খাবার হিসেবে নয়। ঠাণ্ডা শসা ফ্রিজের বাইরে আনলেই স্বাদ বদলে যায়। এই শসার স্যালাড খাওয়া শরীরের জন্যও ঠিক নয়।
আরও পড়ুন : হেঁচকি বন্ধ করার ঘরোয়া উপায়
আরও পড়ুন : সবুজ চাটনির স্বাস্থ্যগুণ