কলকাতা , ইন্ডিয়া নিউজ
Maa Kitchen
এবার ‘মা কিচেন’ নিয়ে প্রশ্ন উঠলো রাজ্যপাল জগদীপ ধনখড়ের মন্তব্যে। রাজ্যপালের টুইটে মমতা প্রশাসনকে বিঁধে জগদীপ ধনখড় জানান যে তিনি অনেকদিন ধরেই খেয়াল করেছেন মুখ্যমন্ত্রীর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের চালু ‘মা কিচেন’ প্রকল্পটি চালু রাখতে যে তহবিল রয়েছে তা অসাংবিধানিকভাবে ব্যবহার করা হচ্ছে। এই মর্মে রাজ্য সরকারের কাছে এই প্রকল্পের খরচের খতিয়ান চেয়ে পাঠিয়েছেন রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান ধনখড়।
মা কিচেনের বরাদ্দ টাকা ‘অসাংবিধানিক’
রাজ্যপালের নিশানায় কেবল মমতার মা কিচেন যে রয়েছে তা নয়। বেঙ্গল গ্লোবাল বিসনেস সামিট নিয়ে এর আগে শ্বেতপত্র প্রকাশের দাবি তুলেছিলেন ধনখড়। ২০১৬ সাল থেকে বেঙ্গল গ্লোবাল বিজনেস সামিটের আয়োজন করতে বছর পিছু কত টাকা খরচ হয়েছে?২০১৬ সাল থেকে শিল্প সম্মেলন করে সাফল্য কতটা অর্থাৎ কত বিনিয়োগ হয়েছে, কত চাকরি হয়েছে? এই সকল প্রশ্ন জানতে চাওয়া হয়েছিল।
কিন্তু সেই প্রশ্নের এখনও কোনও সদুত্তর পাওয়া যায়নি বলেই জানিয়েছেন রাজ্যপাল। এদিন টুইটে রাজ্যপাল সেই তথ্য তুলে নিশানা করেন অমিত মিত্রকে। টুইটে জগদীপ ধনকর বলেন, “এখনও বিজিবিএস রিপোর্ট কার্ড পেশ করা হয়নি। এর অর্থ অমিত মিত্র নিশ্চয় কিছু গোপন করছেন।”
এক সপ্তাহের মধ্যেই সকল তথ্য চেয়েছেন রাজ্যপাল
মা কিচেনের বরাদ্দ টাকা, খরচের যাবতীয় হিসেবের তথ্য চেয়ে অর্থদফতরের মিনিস্টার-ইন-চার্জ ড. অমিত মিত্রকে সময়ও বেঁধে দিয়েছেন ধনখড়। রাজ্যপাল জানিয়েছেন, ৩১.৩.২০২১ পর্যন্ত মা প্রকল্পে কত খরচ হয়েছে সেই তথ্য দিতে হবে, এই খরচের মূল উৎস এবং সেই ফান্ড কোন অথরিটি অনুমোদন দিয়েছে সেই তথ্যও চেয়েছেন রাজ্যপাল। এর জন্য সময়ও বেঁধে দিয়েছেন তিনি। অর্থ দফতরের প্রধান সচিবকে আজ থেকে এক সপ্তাহের মধ্যেই এই সকল তথ্য জমা দিতে বলা হয়েছে।
কৌশিক দাস, কলকাতা