উত্তরপ্রদেশে মহিলা নিরাপত্তায় জোর দিতে ‘শক্তি দিদি’ নিয়োগ করার পরিকল্পনা করলেন যোগী আদিত্যনাথ। মিশন শক্তি অভিযানের নতুন পর্বের সূচনা করে যোগী আদিত্যনাথ মহিলা বিট অফিসারদের নাম দিলেন শক্তি দিদি। নারী সুরক্ষায় মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথের নির্দেশনায় আসন্ন শারদীয়া নবরাত্রির প্রথম দিন থেকেই তা চালু হচ্ছে।’মিশন শক্তি’ অভিযানের নতুন পর্ব শুরু হতে চলেছে উত্তরপ্রদেশে। এই অভিযানের কেন্দ্রে থাকবেন ‘শক্তি দিদি’রা। যাঁরা আসলে মহিলা বিট অফিসার। তাঁদের এই নতুন নাম দেওয়া হল। রাজ্যে মহিলাদের সুরক্ষা, সম্মান এবং স্বনির্ভরতা নিশ্চিত করার জন্য তাঁরা কাজ করবেন।মুখ্যমন্ত্রী যোগী আদিত্যনাথ নয়া দৃষ্টিভঙ্গির সাথে সামঞ্জস্য রেখে, স্বাস্থ্য, রাজস্ব, মহিলা ও শিশু উন্নয়ন-সহ বিভিন্ন দফতরের স্থানীয় কর্মীদের সঙ্গে শক্তি দিদিদের নিয়োগ করলেন। কোনও যোগ্য মহিলা তাঁদের জন্য প্রণীত স্কিমগুলির সুবিধা থেকে যাতে বঞ্চিত না হন, তা দেখবেন এই শক্তি দিদিরা। মিশনের এই পর্বে মহিলাদের নিরাপত্তা ও জরুরি পরিস্থিতিতে সহায়তার বিষয়ে তথ্য প্রদান করা হবে। কেন্দ্রীয় ও রাজ্য সরকারের বিভিন্ন কল্যাণমূলক প্রকল্পের সঙ্গে সংযোগ করার সুযোগও থাকবে। মুখ্যমন্ত্রীর নির্দেশ অনুসারে, শক্তি দিদি-সহ আশা কর্মী, এএনএম, রোজগার সেবক, লেখপাল, অঙ্গনওয়াড়ি কর্মী প্রমুখ প্রতি সপ্তাহে একটি নির্দিষ্ট দিনে গ্রামের মহিলাদের সঙ্গে যোগাযোগ করবেন। এই শক্তি দিদিরা বা মহিলা বিট অফিসাররা মহিলাদের সুরক্ষা নিশ্চিত করার জন্য মুখ্যমন্ত্রীর গৃহীত ব্যবস্থা সম্পর্কে অবহিত করবেন। তাঁরা ১১২, ১০৮, ১০৯০, ও ১৮১-র মতো হেল্পলাইন পরিষেবাগুলি সম্পর্কে সচেতন করবেন, যা জরুরি পরিস্থিতিতে তাঁদের রক্ষা করবে। তাঁরা এখন পর্যন্ত বিভিন্ন বিভাগীয় স্কিম থেকে বাদ পড়া যোগ্য মহিলাদেরও চিহ্নিত করবেন এবং তাঁদের এই স্কিমগুলি থেকে উপকৃত হতে সাহায্য করবে। মিশন শক্তির নতুন পর্বের সাথে সম্পর্কিত ‘শক্তি দিদি প্রকল্প’ উদ্বোধন করা হয়েছে সম্প্রতি। এই প্রকল্পটি কার্যকর করার জন্য সাতটি কমিশনারেট ও রাজ্যের ৬৮টি জেলার পুলিশ অফিসার/কর্মচারীদের জন্য ৫ থেকে ২১ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত এক দিনের প্রশিক্ষণ কর্মসূচির আয়োজন করা হয়েছিল৷ এই প্রশিক্ষিত অফিসার ও কর্মচারীরা তাঁদের নিজ নিজ কমিশনারেট ও জেলায় মাস্টার প্রশিক্ষক হিসাবে কাজ করবেন৷ মহিলা বিট পুলিশ অফিসারদের প্রশিক্ষণ দেওয়া হয়েছে। এরপর নবরাত্রি থেকে আনুষ্ঠানিক প্রচার শুরু হবে। তাঁদের কাজ হবে, চৌপাল সংগঠিত করা, হোয়াটসঅ্যাপের মাধ্যমে মহিলাদের সংযোগ করা। এছাড়া বিভিন্ন হেল্পলাইন নম্বর, মহিলা হেল্প ডেস্ক এবং সরকারি কল্যাণ প্রকল্প সম্পর্কে তথ্য প্রদান করা। পাবলিক প্লেসে প্রকাশ্য হয়রানির শিকার হলে ব্যবস্থা নেবেন তাঁরা। প্রয়োজনে যৌন অপরাধের শিকারদের কাউন্সেলিংও করবেন।