সঞ্জিত সেন, পূর্ব বর্ধমান, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : WiFi Roof Garden in East Burdwan ওয়াইফাই ছাদবাগান গড়ে তাক লাগিয়ে দিয়েছেন বর্ধমানের সনৎ সিংহ। শহরের ঝাপানতলায় তাঁর ছাদে ছয়লাপ হয়ে আছে মরসুমি ফুল আর সবজি। গোটাটাই জৌব প্রযুক্তির কল্যাণে। শহরের বুকে গাছ আর সবুজের প্রতি ভালবাসা বাঁচিয়ে রেখেছেন কিছু নাছোড়বান্দা মানুষ। সনৎ তাঁদের মতোই একজন। ইট, কাঠ, পাথর, কংক্রিটের জঙ্গলে মফস্বল শহর বর্ধমান তার পুরনো রূপ পালটে নিচ্ছে। তবু সবুজের হাতছানি উদাস করত সনৎকে। পথ বাতলে দিলেন বিধানচন্ত্র কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের বর্ধমান এক্সটেনশনের ডিন অধ্যাপক তপন মাইতি। সনৎ সিংহ ওখানকারই আধিকারিক।
কয়েকশো কিলোমিটার দূর থেকেও নিয়ন্ত্রণ করা যাবে বাগান! WiFi Roof Garden in East Burdwan
বর্ধমানের ঝাপানতলায় সনৎ সিংহের নিজস্ব তিনতলা বাড়ি। সেই বাড়ির দুটো ছাদ। ছাদ আর সিড়িতে এখন গাছ আর গাছ। কী কী আছে? বলা ভাল, কী নেই! আলু, পিঁয়াজ, আদা, লঙ্কা, হলুদ, মরসুমি সিম, মুলো, বেগুন, বিনস, শুটি, টমেটো। আর আছে ফুল বাগানের শোভা। ডালিয়া, গাঁদা, চন্দ্রমল্লিকা ফুলের শোভায় মন কেড়ে নেবে সনতের ছাদবাগান। বাগানে শাখামৃগের উপদ্রব ঠেকাতে আছে ফেন্সিং। সনৎ সিংহ জানিয়েছেন, ‘কম করে কুড়ি কেজি আদা, কেজি তিরিশেক সিম হয়েছে। আলুও হচ্ছে। এর স্বাদ আলাদা। নিজে ঘরে খেয়ে পড়শি আর বন্ধুদের দেদার বিলিয়েও আনন্দ পাচ্ছেন।’
ওয়াইফাই প্রযুক্তি ব্যবহার করে জল দেওয়া হয় গাছে WiFi Roof Garden in East Burdwan
কিন্তু এই বাগানের বৈশিষ্ট্য কয়েকটি আছে। সেটাই ইউনিক। আজকাল মানুষের সময় কম। ব্যস্ত জীবন। গাছে জল দেওয়ার সময় কোথায়? এক বন্ধুকে নিয়ে সনৎ ওয়াইফাই প্রযুক্তি আর রাউটার ব্যবহার করে গাছে জল দেন। রোটারির ঘূর্ণায়মান মোটর জল ছিটিয়ে দেয় তাঁর বাগানে তিনি যেখানেই থাকুন, এমনকী কয়েকশো কিলোমিটার দূরে হলেও। মোবাইলের এক ক্লিকে জল সিঞ্চন হয়ে যায়। এর সাথে সিসিটিভিও আছে নজরদারি রাখার জন্য।
এই বাগানে কোনও রাসায়নিক দেওয়া হয় না। ভার্মিকম্পোস্ট, ডিমের খোসা, গোবর, খোল এসব দেন তিনি। নিম তেলের মতো জৈব কীটনাশক হিসাবে প্রয়োগ করা হয়। এতে চমৎকার ফল মিলেছে। এই শীতে আধুনিক বাঞ্চারামের ছাদবাগান নতুন একটা গল্পের জন্ম দিল বাংলাজুড়ে তা বলাই যায়।
আরও পড়ুন : TMC leader arrest হাড়দা পুলিশ ক্যাম্পে হামলায় প্রাক্তন তৃণমূল যুব সভাপতির জেল হেফাজত
—–
Published by Subhasish Mandal