আগামী ২৩ অক্টোবর বঙ্গোপসাগরে তৈরি হতে চলেছে ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ (Cyclone DANA)। আরবি শব্দ দানার অর্থ হল ‘দামি মুক্তো’। এই নামটি ওমানের দেওয়া।
কী জানাল মৌসম ভবন?
ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ প্রসঙ্গে মৌসম ভবন জানিয়েছে, বর্তমানে উত্তর একটি ঘূর্ণাবর্ত আন্দামান সাগরে অবস্থান করছে। সেটি ক্রমে শক্তি বাড়িয়ে ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে চলেছে। এটি পশ্চিমবঙ্গ এবং ওড়িশা উপকূলে আছড়ে পড়তে পারে।
জানা যাচ্ছে, আগামী ২৪ ঘণ্টার মধ্যে পূর্বমধ্য বঙ্গোপসাগর এবং উত্তর আন্দামান সাগরের ওপরে নিম্নচাপটি তৈরি হবে। ২২ অক্টোবর তা আরও ঘনীভূত হয়ে গভীর নিম্নচাপে পরিণত হবে। ২৩ অক্টোবর পূর্মমধ্য বঙ্গোপসাগরেই তা ঘূর্ণিঝড়ে পরিণত হতে পারে বলে জানা যাচ্ছে।
আরও পড়ুন: West Bengal Weather: নিম্নচাপের ভ্রূকুটি? লক্ষ্মীপুজোতেও কি ভারী বৃষ্টি?
এদিকে আলিপুর আবহাওয়া দফতরের পূর্বাভাস বলছে, ঘূর্ণিঝড় ‘দানা’ ১২০ কিলোমিটার প্রতি ঘণ্টা গতিবেগে বইতে পারে। ইতিমধ্যেই মৎস্যজীবীদের সমুদ্রে যেতে নিষেধ করা হয়েছে। চিন্তায় রয়েছেন উপকূলবর্তী এলাকার বাসিন্দারা।
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় প্রস্তুতি
ঘূর্ণিঝড়ের মোকাবিলায় রাজ্যে ২৪ ঘণ্টার জন্য খোলা রাখা হচ্ছে কন্ট্রোল রুম। আঁটঘাট বেঁধে প্রস্তুতি নিচ্ছে কলকাতা পুরসভা। গাছ পড়ে গেলে তা সরানোর জন্য যেমন বিশেষ টিম মোতায়েন করা হবে, তেমনই জল নিকাশি ব্যবস্থা দেখার জন্য থাকবে বিশেষ টিম। থাকবে, হাইড্রোলিক ল্যাডার, ক্রেন, পে লোডার, ডাম্পার।
জানা গিয়েছে, পুর এলাকার ৭৬টি নিকাশি পাম্পিং স্টেশন মিলিয়ে মোট ৪০৮টি পাম্প রয়েছে, যার মধ্যে সবগুলিই ঝড়ের দিনে চালু রাখা হবে। থাকবে অস্থায়ী পাম্পও।