আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar) তোলপাড় গোটা দেশ। ক্ষোভে ফুঁসছে সকলে। সেই রেশ দেশের মাটির ছাড়িয়ে পৌঁছে গিয়েছে বিদেশের মাটিতেও। হাসপাতালে তরুণী চিকিৎসকের ধর্ষণ-খুনের পর মহিলা স্বাস্থ্যকর্মীদের সুরক্ষার বিষয়টি চিন্তার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। তাই এবার নারী নিরাপত্তায় আরও গুরুত্ব দিতে চায় রাজ্য সরকার।
‘রাত্তিরের সাথী’ প্রকল্প
শনিবার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভার্চুয়াল উপস্থিতিতে একটি বৈঠক হয়। উপস্থিত ছিলেন রাজ্যের মুখ্যসচিব ভগবতীপ্রসাদ গোপালিকা, মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, রাজ্য পুলিশের ডিজি রাজীব কুমার প্রমুখরা। এদিনই বৈঠকের পর (RG Kar) ‘রাত্তিরের সাথী- হেল্পার্স অফ দ্য নাইট’ প্রকল্পের সূচনার বিষয়ে জানান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়।
১০ টি সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় বলে জানান আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। সরকারি হাসপাতালে চিকিৎসক এবং নার্সদের সুরক্ষার পাশাপাশি রাতে যে সমস্ত মহিলাদের কাজ করেন তাঁদের নিরাপত্তার কথা বলা হয়েছে এই বৈঠকে।
আরও পড়ুন : RG Kar: ‘হাসপাতালে কীভাবে বহিরাগতরা ঢুকে হামলা করল?’ প্রশ্ন শীর্ষ আদালতের
কী কী রয়েছে এই প্রকল্পে?
‘রাত্তিরের সাথী’ মোবাইল অ্যাপ তৈরি হবে, যা স্থানীয় থানার সঙ্গে সংযুক্ত থাকবে এবং কোনও ঘটনা ঘটলে বিপদঘণ্টি বাজবে
রাতের জন্য বাড়তি মহিলা নিরাপত্তারক্ষী থাকবে
সিসিটিভির আওতায় তৈরি হবে ‘সেফ জোন’
চালু হবে ২৪ ঘণ্টার হেল্প লাইন নম্বর – ১০০/১১২
মদ্যপ অবস্থা যাতে হাসপাতালে যাতে কেউ ঢুকতে না পারে তার জন্য হবে ‘ব্রেথ অ্যানালাইজার’ পরীক্ষা
রাতের শিফটে মহিলাদের যদি কাজ করতেই হয়, তাহলে গোষ্ঠীবদ্ধভাবে মহিলারা কাজ করবেন
রাতের শিফটে পুরুষ-মহিলা কর্মীদের সমানুপাতে রাখতে হবে
হাসপাতালগুলিতে মহিলাদের জন্য শৌচালয়-সহ বিশ্রাম কক্ষ তৈরি হবে
হাসপাতালের প্রতিটি তলায় পানীয় জলের বন্দোবস্ত করা হবে
রাতে কাজের সময়ে কর্মক্ষেত্রে পরিচয়পত্র পরে থাকতে হবে
বেসরকারি সংস্থাকেও ‘রাত্তিরের সাথী’ ইনস্টল করতে হবে