Tuesday, September 17, 2024
Homeরাজ্যনদিয়াVessel Stuck in Bhagirathi River নদীতে পলি পড়ার জের! শান্তিপুরে ভাগীরথীর গর্ভে...

Vessel Stuck in Bhagirathi River নদীতে পলি পড়ার জের! শান্তিপুরে ভাগীরথীর গর্ভে সারারাত আটকে যাত্রীবাহী ভেসেল

সুরজিৎ দাস, নদিয়া, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: Vessel Stuck in Bhagirathi River প্রবল ঠান্ডায় ভাগীরথীর গর্ভে শুক্রবার রাত ৯টা থেকে আজ প্রায় সকাল ৬টা পর্যন্ত আটকে রইল শান্তিপুর-গুপ্তিপাড়া যাত্রী পারাপার করার একটি ভেসেল। যার মধ্যে আটকে পড়ে বিভিন্ন হাটে যাওয়ার উদ্দেশে ব্যবসায়ীদের গাড়ি, শান্তিপুরের বিডিওর গাড়ি এবং চিকিৎসা বা অন্যান্য কারণে পারাপার হওয়া মানুষজনদের গাড়ি। মূলত জল কমে যাওয়া এবং পলি পড়ার কারণেই এই বিভ্রাট বলে জানা গেছে। তবে যাত্রীরা কেউ কেউ ভেসেল চালকের দোষ দেখলেও চালকরা জানান রাতে জলের গভীরতা কোথায় আছে তা দেখা বা বোঝা সম্ভব হয় না অনেক সময়। যদি ভাসমান রোড ম্যাপ থাকত তাহলে কিছুটা বোঝা সম্ভব হত। আর স্থায়ী ব্যবস্থা করতে গেলে গঙ্গার পলি কাটানো ছাড়া অন্য কোনও উপায় নেই।

গতকাল অনেকেই গিয়েছিলেন হাটে। সেই হাট থেকে কাপড়ের গাড়ি নিয়ে ভেসেল করে শান্তিপুরে ফেরার পথে আটকে পড়েন তাঁরা। শান্তিপুর-গুপ্তিপাড়া ফেরি ঘাটের রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বে থাকা শ্যাম সাহা এ বিষয়ে জানান, মালবিহীন যাত্রীদের একটি ছোট নৌকা করে উদ্ধার করা হয়েছিল গত রাতেই। দড়ি ধরে ভেসেলকে টেনে নিয়ে আসার জন্য বহু মানুষের দরকার ছিল, যা আজ সকালে পাওয়া সম্ভব হয়েছে। তাই এই বিলম্ব। তবে পাকাপাকি সমাধান করতে সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বিষয়টি বারংবার জানালেও তিনি এই ব্যাপারে কোনওরূপ ব্যবস্থা নেননি এখনও পর্যন্ত। এছাড়াও বিধায়ক এবং জেলা প্রশাসনকে জানানো হয়েছে একাধিকবার।

প্রবল ঠান্ডায় ভাগীরথীর গর্ভে আটকে পড়ে ভেসেল Vessel Stuck in Bhagirathi River

আরও পড়ুন : Sundarban Milan Mela কোভিডবিধি মেনে ক্যানিংয়ে ‘সুন্দরবন মিলন মেলা’

এ প্রসঙ্গে শান্তিপুরের বিধায়ক ব্রজকিশোর গোস্বামী বলেন, উদ্ধারকার্যে কোনও গাফিলতি হয়নি। শেষ রাতে যখন জানতে পারি তাৎক্ষণিকভাবে আমার প্রতিনিধি, ঘাট রক্ষণাবেক্ষণের পক্ষ এবং পুলিশ প্রশাসন উপস্থিত হয়েছিল। নাম না করলেও মূলত তিনি পলি কাটানোর বিষয়টি কেন্দ্রীয় সরকারের দায়িত্ব বলেই জানিয়েছেন। তবে সাধারণ মানুষের আবেদনের ভিত্তিতে তিনি রাজ্য সরকারের সাথে কথা বলতেও রাজি বলেই জানান বিধায়ক। সাংসদ জগন্নাথ সরকার অবশ্য গোটা বিষয়টি অমানবিক বলে দাবি করেন। তিনি বলেন, জনগণের দ্বারা নির্বাচিত সাংসদ সরকারি কোনো অনুষ্ঠানে ডাক পান না। দোষ ঘাড়ে চাপানোর সময় কেন্দ্রীয় সরকার এবং সাংসদকে খুঁজে পেয়ে যান। ডিজাস্টার ম্যানেজমেন্ট টিম, পুলিশ প্রশাসন, সারাবছর লভ্যাংশ ঘরে তোলা ঘাট কর্তৃপক্ষর উদাসীনতায় এই দুর্ভোগ সাধারণ মানুষের। তবে পলি কাটানোর বিষয়ে সিংহভাগ দায়িত্ব কেন্দ্রীয় সরকারের তা মেনে নিয়েই তিনি বলেন, রাজ্য সরকার যদি পলি কাটানোর উদ্যোগ গ্রহণ করেন তাহলে নিশ্চয়ই কেন্দ্র বাধা দেবে না। কিন্তু সে সদিচ্ছা তাদের নেই।

—–
Published by Subhasish Mandal

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular