wake of sectarian strife,TMC leader shootout গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের জের, গুলিবিদ্ধ তৃণমূল কর্মী
অমিত সরকার,ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কোচবিহার: গোলাগুলিতে উত্তপ্ত হয়ে উঠল কোচবিহারের গীতালদহের নবমী এলাকা। বুধবার সকালে নিজের জমিতে চাষের কাজ করতে গিয়ে গুলিবিদ্ধ হন আব্দুল হামিদ নামে এক ব্যক্তি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।
wake of sectarian strife,TMC leader shootout চাষের জমিতে কাজ করার সময় গুলি
পুলিশ সূত্রে খবর, গীতালদহের নবমী এলাকায় চাষের জমিতে কাজ বুধবার কাজ করছিলেন আব্দুল হামিদ। সে সময় তাঁকে লক্ষ্য করে গুলি চালায় একদল দুষ্কৃতী। গুলি এসে লাগে হামিদের মাথায়। গুলি লেগেছে হামিদের সঙ্গে থাকা গবাদি পশুর পেটেও। গুরুতর আহত অবস্থায় হামিদকে উদ্ধার করে ভর্তি করা হয়েছে দিনহাটা মহকুমা হাসপাতালে।
wake of sectarian strife,TMC leader shootoutগুলির কারণ স্পষ্ট নয়
কে বা কারা হামিদকে লক্ষ্য করে গুলি চালাল তা এখনও স্পষ্ট নয়। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে দিনহাটা থানার পুলিশ। এই ঘটনার সঙ্গে কোনও রাজনৈতিক বিষয় জড়িয়ে রয়েছে কিনা সেটিও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
wake of sectarian strife,TMC leader shootout এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী বলে পরিচিত
সূত্রের খবর,এলাকায় সক্রিয় তৃণমূল কর্মী হিসাবে পরিচিত আব্দুল হামিদ। সকালে মাঠে গবাদি পশু নিয়ে কাজ করার সময় কারা তাঁকে গুলি করল তা নিয়ে ধন্ধে রয়েছে পুলিশ। গীতালদহ ১নং ব্লকের অঞ্চল সভাপতি আবু আল আজাদ বলেন, এলাকার বিধায়ক জগদীশচন্দ্র বর্মা বসুনিয়ার নেতৃত্বে দুষ্কৃতীরা এলাকায় দীর্ঘদিন ধরে তাণ্ডব চালাচ্ছে। পুলিশ সব কিছু জেনেও মুখে কুলুপ এঁটে রয়েছে। অন্যদিকে জগদীশচন্দ্র বর্মার ঘনিষ্ঠ বলে এলাকায় পরিচিত নূর আলম। সম্প্রতি দলবিরোধী কজের জন্য নূর আলমকে দল থেকে বহিষ্কারের সিদ্ধান্ত নিয়েছে কোচবিহার জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব। এবং গীতালদহে অঞ্চল সভাপতির দ্বায়িত্ব দেওয়া হয়েছে আবু আল আজাদকে। যা নিয়ে দু’পক্ষের বিরোধ চরমে পৌছায়।আবু আল আজাদের গোষ্ঠীর সক্রিয় কর্মী বলে পরিচিত আব্দুল হামিদ। ফলে গোষ্ঠী বিবাদের কারণেই নূর আলমের গোষ্ঠীর লোকেরা আব্দুল হামিদের উপর হামলা চালিয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যদিও সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছে নূর আলম।
wake of sectarian strife,TMC leader shootout গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের অভিযোগ
দলের মধ্যে গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন কোচবিহার জেলা তৃণমূল সভাপতি গিরীন্দ্রনাথ বর্মন। গুলি চালানোর ঘটনার তদন্ত হবে বলেও আশ্বাস দিয়েছেন তিনি। ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে দিনহাটা থানার পুলিশ।