Suvendu attacks Mamata কাঁথিতে ভোট প্রচারে দুয়ারে শুভেন্দু
সৌম্য প্রামানিক, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা,পূর্ব মেদিনীপুর: নিজের গড় রক্ষায় এবার দুয়ারে শুভেন্দু। বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাঁথি পুরসভার বিভিন্ন ওয়ার্ডে ওয়ার্ডে ঘুরে সাধারণ মানুষের দুয়ারে পৌঁছালেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। মানুষের সাথে একেবারে আপন ভাবে মিশে যাওয়ার পাশাপাশি ঘুরে বেড়ালেন একাধিক মন্দিরেও। পাশাপাশি শুভেন্দু সাফ জানিয়ে দেন, “মানুষ ভোট দিতে পারলেই বিজেপি জিতবে।”
কাঁথিতে ভোট প্রচারে দুয়ারে শুভেন্দু
আগামী ২৭ শে ফেব্রুয়ারি কাঁথি পৌরসভা নির্বাচন। আর সেই নির্বাচনকে সামনে রেখে বৃহস্পতিবার সকাল থেকে কাঁথির ১৮, ১৯ এবং ২১নং ওয়ার্ডে বিজেপির প্রার্থীদের নিয়ে প্রচার করেন শুভেন্দু অধিকারী। সেখান থেকেই মানুষের দুয়ারে দুয়ারে পৌঁছালেন তিনি। শুভেন্দু এদিন জানান, “মানুষ ভোট দিতে পারলেই এখানে আমরা সব ওয়ার্ডে জিতবো। কিন্তু সমস্যা হচ্ছে বিধাননগরে কেউ ভোট দিতে পারেনি। আসানসোলে বিধায়ক ভোট দিতে পারেনি তারপর আমাদের পিসিমনি স্বর্গে প্লেন পাঠিয়ে সেখান থেকে সংগীতশিল্পী দ্বিজেন মুখোপাধ্যায়কে এনে তিনি ভোট দিয়ে গেছেন। এখন ভূতেরা যদি ভোট দেয় তাহলে অন্য কথা। কিন্তু মানুষ ভোট দিতে পারলে মানুষ পদ্ম ছাড়া অন্য কোথাও ভোট দেবেনা।” তিনি আগাম নিদান দিয়ে বলেন, “এখানে যদি খারাপ কিছু করে আগামী লোকসভা ভোটে সাফ হয়ে যাবে। ৪০ হাজার ভোট লিড আছে কাঁথিতে।” রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে তুলোধোনা করে শুভেন্দুর বক্তব্য, “এখানে কাজ নেই। দু’কোটি বেকার। গোটা পশ্চিমবঙ্গে সিভিকে পরিণত করেছে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সিভিক টিচার, সিভিক ডাক্তার, সিভিক নার্স, সিভিক পুলিশ। গোটা রাজ্য এখন সিভিক। কোন চাকরি নেই। ৫ লক্ষ পার্মানেন্ট পোস্ট অবলুপ্ত করেছে। পুলিশের ৮৫ হাজার পোস্ট আগে ফিলাপ করুন। তারপরে নারায়ণী সেনা করবেন।” শুভেন্দুর বক্তব্য, “মানুষ চাকরি চায়, মানুষ গণতান্ত্রিক পরিবেশ চায়, মানুষ চায় ভালো শিক্ষা আর ভাল স্বাস্থ্য। মানুষ চায় কেন্দ্র ও রাজ্য ভোটের সময় লড়াই করুক আর অন্য সময় একসাথে কাজ করুক। পিএম কিষাণ যেমন চালু করতে বাধ্য হয়েছেন তেমন আয়ুষ্মান ভারত চালু হোক মানুষ চায়। এগুলো যদি বুঝতে পারে তাহলে হবেনা যদি বুঝতে পারে তাহলে লড়াই চলবে। সাতবার সিপিএম ছিল কিন্তু এখন নেই এরাও তিনবার আছে এরপর থাকবে না।”
এদিন ঐসকল ওয়ার্ডের বিজেপি প্রার্থী ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কাঁথি সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি সুদাম পন্ডিত, সাধারণ সম্পাদক তথা শুভেন্দু অধিকারীর ভাই সৌমেন্দু অধিকারী সহ অন্যান্যরা।
Published by Samyajit Ghosh