সৌম্য প্রামাণিক, পূর্ব্ব মেদিনীপুর, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : নন্দীগ্রামের ভাঙাবেড়্যাতে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা তথা নন্দীগ্রামের বিধায়ক শুভেন্দু অধিকারী। ২০০৭ সালের ৭ জানুয়ারি নন্দীগ্রামে ভূমি আন্দোলনে শহিদ হন সেখ সেলিম, বিশ্বজিৎ মাইতি ও ভরত মণ্ডল। তাঁদের স্মরণ করতেই ভাঙাবেড়্যাতে এক অনুষ্ঠানে এলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা।
শহিদবেদিতে মাল্যদান করে এদিন বক্তব্য রাখতে গিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসকে আক্রমণ করেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘নন্দীগ্রাম আন্দোলনে শহিদদের রক্ত যাঁর হাতে লেগে আছে সেই লক্ষ্মণ শেঠকে নিয়ে এসে এবার এই তোলামূল পার্টি মিটিং করবে। গতবছর আমায় শহিদবেদিতে মালা দিতে দেয়নি। আগের দিন রাত্রে দিতে হয়েছিল। আজ ওদের বুকের উপর দাঁড়িয়ে শহিদ দিবস পালন করলাম। ওরা দেখছে কারণ ওদের পুলিশ ছাড়া আর কেউ নেই। ওরা এই অনুষ্ঠানে পবিত্রতা রাখে না। গুরুজনেরা বলেন কুকুর মানুষের পায়ে কামড়ায়, মানুষ কামড়ায় না কুকুরের পায়ে। ভালো কাজ লোককে দেখে শিখতে হয়, খারাপ কাজ পরিহার করতে হয়।’
ভাঙাবেড়্যাতে শহিদ স্মরণ অনুষ্ঠানে রাজ্যের বিরোধী দলনেতা Suvendu Adhikari at Martyrs Remembrance Ceremony in Nandigram
বিরোধী দলনেতা এদিন হুঁশিয়ারি দিয়ে আরও বলেন, ‘চিল্লগ্রামের বিজেপি কর্মী দেবব্রত মাইতি খুনের ঘটনায় ১১ জনের নামে চার্জশিট জমা দিয়েছে সিবিআই। বাকি যাঁরা অভিযুক্ত রয়েছে তাঁদেরকে ফাঁকা করে দেব আমি। যাঁদের নামে চার্জশিট জমা পড়েছে তাঁদের মধ্যে প্রধান আছে, প্রধানের স্ত্রী আছে। আরও অনেকে আছে। এর আগে লুঙ্গি ছাড়া গামছা পরে ঘুরত। সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করে বড়লোক হয়েছে। ৫ থেকে ৬ একর করে জমি রয়েছে। প্রত্যেকে পাকা বাড়ি করেছে। এদের অনেককেই কে চাকরি করে দিয়েছে জিজ্ঞাসা করবেন তো! জোঁকের গায়ে কীভাবে দেশি নুন দিতে হয় তা আমি জানি।
এদিন করোনা পরিস্থিতি বাড়বাড়ন্তের জন্য রাজ্য সরকারকেও এক হাত নেন শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, ‘রাজ্য সরকারের অপদার্থতার জন্য খেলা ও মেলা লাগাতার হওয়ার কারণেই কোভিড বৃদ্ধি হয়েছে। তাই নন্দীগ্রাম-সহ খেজুরিবাসীকে সতর্ক থাকার অনুরোধ জানাই।’
——-
Published by Subhasish Mandal