Thursday, September 19, 2024
HomePoliceStudent leader death আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ বামেদের, সিবিআই...

Student leader death আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ বামেদের, সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

Student leader death আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ বামেদের, সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

কৌশিক দাস, কলকাতা ও তনময় চক্রবর্তী, উত্তর দিনাজপুর, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা:  হাওড়ার আমতায় ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুতে এখনও ধোঁয়াশা। পরিবারের অভিযোগের ভিত্তিতে খুনের মামলা রুজু করে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ। প্রাথমিক তদন্তের পর পুলিশের দাবি, শুক্রবার রাতে আনিসের বাড়িতে পুলিশ আসেনি। যদিও আনিসের বিরুদ্ধে দুটি মামলা রয়েছে। একটি মামলায় আদালত থেকে ছাত্রনেতার বিরুদ্ধে সমন জারি হয়। পুলিশ খতিয়ে দেখছে, কারও সঙ্গে আনিসের ব্যক্তিগত শত্রুতা ছিল কিনা। মৃত্যুর প্রকৃত কারণ জানতে ফরেন্সিক দলকে ডাকা হচ্ছে। অন্যদিকে, ছাত্রনেতা আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে আজ রাজ্যজুড়ে এসএফআই-এর বিক্ষোভ কর্মসূচি রয়েছে।
এদিন সকালে ঘটনাস্থলে পৌঁছে আমতা থানার পুলিশ। পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন আমজনতা। তাদের দাবি দ্রুত দোষীদের গ্রেফতার করা হোক। একই সঙ্গে পরিবারের তরফে অভিযোগ করা হয় আনিস খানের মৃত্যুর ৩০ ঘণ্টা পর কেন পৌঁছল পুলিশ? কেন এত সময় পেরিয়ে যাবার পর ঘোরা হল না সেই জায়গা?
আনিস খানের মৃত্যুর পর উত্তাল হয়ে ওঠে হাওড়া। আইএসএফ ছাত্র নেতার মৃত্যুতে পথে নেমে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করে বাম কর্মী সমর্থকরা। ২২ ফেব্রুয়ারি মহাকরণ অভিযানের ডাক দিয়েছে এসএফআই।
এদিকে একাধিক প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। শুক্রবার গভীর রাতে পুলিশের পোশাকে কারা এসেছিল? কোথায় গেল আনিসের মোবাইল ফোন? কেন এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত শাসকদলের তরফ থেকে কোনো পদক্ষেপ নেওয়া হলো না সে প্রশ্নও তুলেছেন তারা।

 

Student leader death
প্রসঙ্গত আমতা থানার সারদা দক্ষিণ পাড়ার বাসিন্দা আনিস খান। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের মেধাবী ছাত্র হিসেবে এলাকায় পরিচিত সে। শুক্রবার গভীররাতে চোখের সামনে ছেলেকে খুন হতে দেখেন আনিসের বাবা।
আনিসের বন্ধুমহলে তরফ এ দাবি করা হয়েছে বেশ কয়েকদিন ধরেই আনিসকে খুনের হুমকি দেওয়া হচ্ছিল। চিঠি লিখে পুলিশকে সে কথা জানায় আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র নেতা। তার পরেও কেন নিষ্ক্রিয় ছিল পুলিশ সে প্রশ্নই এখন বারবার ঘুরপাক খাচ্ছে।

Student leader death আনিস খানের মৃত্যুর প্রতিবাদে পুলিশকে ঘিরে বিক্ষোভ বামেদের, সিবিআই তদন্তের দাবি পরিবারের

উত্তর দিনাজপুর: অন্যদিকে, ছাত্র নেতা তথা CAA বিরোধী আন্দোলনের অন্যতম মুখ আনিস খানের মৃত্যুতে এবার মুখ খুললেন রায়গঞ্জ লোকসভার প্রাক্তন সাংসদ তথা সিপিআইএমের নেতা মহঃ সেলিম। এদিন উত্তর দিনাজপুর জেলার দলীয় দপ্তরে আনিস খানের মৃত্যুর বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই, বলে দাবি জানালেন তিনি। ডালখোলা থেকে কালিয়াগঞ্জে পৌরসভার ভোটের প্রচার করতে যাওয়ার পথে এদিন মহঃ সেলিম সাংবাদিকদের মুখোমুখি হন। সেখানেই তিনি অভিযোগ জানিয়ে বলেন, ‘কিভাবে মৃত্যু হল এই আনিস খানের, সে নিয়ে ধোঁয়াশা তৈরি হয়েছে। CID বা CBI নয়, একেবারে বিচারবিভাগীয় তদন্ত করতে হবে। নইলে এই রকম মৃত্যুর মাধ্যমে আমাদের ভবিষ্যৎ প্রজন্মকে ধ্বংস করে দেওয়া হবে।’প্রাক্তন সাংসদ বলেন, অনিস খানের মৃত্যুকে ছেড়ে দেওয়া যায় না।

ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক: মহ: সেলিম

ইতিমধ্যেই দিপ্সীতার মত SFI নেতৃত্ব হাওড়ার আমতায় মৃত আনিশের বাড়ির লোকের সাথে কথা বলেছে। স্থানীয় পড়ুয়ারা ওই এলাকার বহু মহিলাদের সাথে কথা বলেছে। সেখানে পুলিশের বিরুদ্ধে কিছু কিছু কথা উঠছে।’ সেলিম জানান, বিগত মে মাস থেকেই এই ছেলেটির ওপর অত্যাচার চলছে, সেই কথা আনিশ বহুবার লোকাল থানা থেকে শুরু করে সর্বত্র জানিয়েছিল। আলিয়া বিশ্ববিদ্যালয় বাঁচানোর জন্যও কাজ করেছে। এরা চায়, সরকার বিরোধী কোনো কথা বলা যাবে না। এই খুনের বিরুদ্ধে পার্ক সার্কাসে বিচার চাই সভা হচ্ছে, সংখ্যালঘু পড়ুয়ারা মিছিল করছে, এটা কিসের ইঙ্গিত। পুলিশের পোশাকে দুষ্কৃতকারীরা এসেছিল। কে খুন করেছে, এটা পুলিশ বের করবে না? তাই আমরা চাই, এই ঘটনার বিচার বিভাগীয় তদন্ত হোক। অথচ সেই চেষ্টা না করে আজও ধোঁয়াশা তৈরি করা হচ্ছে।খুনীদের স্কেচ করাচ্ছে না কেন পুলিশ, পুলিশের গাড়ির নম্বর প্লেট কেন খোঁজা হচ্ছে না, তাই তদন্ত করা দরকার। আমতা থানার ডিউটি রোষ্টার, টপ অফিসারদের ক্লোজ এগুলো করা দরকার। এমন হত্যা তো উত্তর প্রদেশে হয়, সেখানে এনকাউন্টার করে মারা হয়। তাই তদন্ত চাই। সিবিআই এ ভরসা নেই। বিচার বিভাগীয় তদন্ত চাই। বুদ্ধিজীবীরা সবাই মুখ খুলুন। আপনাদের সকলের কাছে ছিঃ শব্দটা শুনতে চাইছি।’ এদিন আনিশ বাদে অন্য কোনো প্রসঙ্গে সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলতে চাননি মহঃ সেলিম। পাশে ছিলেন উত্তম পাল।

Published by Samyajit Ghosh

 

SHARE
RELATED ARTICLES
Html code here! Replace this with any non empty raw html code and that's it

Most Popular