সোমনাথ মজুমদার, বনগাঁ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : রবিবার রাতে কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী শান্তনু ঠাকুরের সঙ্গে ঠাকুরনগরের বাসভবনে বৈঠক করলেন রাজ্য বিজেপি নেতা সায়ন্তন বসু, রীতেশ তিওয়ারি, জয়প্রকাশ মজুমদার। যদিও ঠিক কী নিয়ে বৈঠক, সে বিষয়ে মুখ খুলতে নারাজ বিজেপি নেতৃত্ব ও শান্তনু ঠাকুর। দীর্ঘক্ষণ এই রুদ্ধদ্বার বৈঠকে কি ভাঙল অভিমান? এই প্রশ্নই এখন ঘুরপাক খাচ্ছে রাজনৈতিক মহলে৷
‘হোয়াটসঅ্যাপ’ বিদ্রোহে জেরবার রাজ্য বিজেপি State BJP leaders meet Shantanu Thakur
‘হোয়াটসঅ্যাপ’ বিদ্রোহে জেরবার রাজ্য বিজেপি। এদিনও রাজ্য বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেছেন বিজেপি নেতা শঙ্কুদেব পণ্ডা। দিন কয়েক আগে রাজ্য বিজেপির সমস্ত হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ত্যাগ করেন কেন্দ্রীয় প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর৷ মতুয়াদের অবহেলার অভিযোগে গ্রুপ ছেড়েছেন শান্তনু। সূত্রের খবর পরিস্থিতি সামাল দিতে আসরে নামেন বিজেপির সর্বভারতীয় সভাপতি জে পি নাড্ডা। বনগাঁর বিজেপি সাংসদকে ফোনও করেন নাড্ডা। মতুয়াদের ‘অবহেলা’ বিষয় নিয়ে নাকি কথাও হয়েছে বলে খবর।
পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুর State BJP leaders meet Shantanu Thakur
এসবের মাঝে গত মঙ্গলবার সন্ধেয় ঠাকুরবাড়িতে পাঁচ বিধায়ককে নিয়ে বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুর। প্রসঙ্গত গত বছরের শেষের দিকে বিভিন্ন সাংগঠনিক জেলার নতুন সভাপতির নামের তালিকা প্রকাশ করে বিজেপি। সেই তালিকা প্রকাশের পর বিজেপির হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ থেকে নিজেদের সরিয়ে নেন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার পাঁচ বিধায়ক। বনগাঁ উত্তর কেন্দ্রের বিধায়ক অশোক কীর্তনিয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর, হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার, রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী ও কল্যাণীর বিধায়ক অম্বিকা রায়।
ভোটের সময় মতুয়াদের ব্যবহার করা হয় State BJP leaders meet Shantanu Thakur
মতুয়াদের অভিযোগ ছিল, ভোটের সময় মতুয়াদের ব্যবহার করা হয় কিন্তু দলের সাংগঠনিক পদে তাঁদের জায়গা হয় না। এরই মাঝে অল ইন্ডিয়া মতুয়া মহাসংঘের সাধারণ সম্পাদক সুখেন্দ্রনাথ গায়েন সোশ্যাল মিডিয়ায় পোস্ট করে জানান, ‘এখন থেকে মতুয়ারা আর কোনও রাজনৈতিক দলকে সমর্থন করবে না।’ এরপর বিজেপির অস্বস্তি বাড়িয়ে গত সোমবারই হোয়াটসঅ্যাপ গ্রুপ ছাড়েন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী শান্তনু ঠাকুর।
শান্তনু ঠাকুরের পদক্ষেপে স্বাভাবিকভাবেই অস্বস্তিতে গেরুয়া শিবির। এরই মাঝেই শান্তনু ঠাকুরের ঘনিষ্ঠ পাঁচ বিধায়ক ঠাকুরবাড়িতে বৈঠক শেষে নিজেদের দাবি-দাওয়া সাংবাদিকদের জানিয়ে দেন। বিধায়ক অসীম সরকার জানান, রাজ্য কমিটির পাশাপাশি বিভিন্ন জেলা কমিটিতে মতুয়াদের প্রতিনিধি রাখতে হবে৷ সেক্ষেত্রে শান্তনু ঠাকুরের সাথে আলোচনা করতে হবে। এরপর দিন বিজেপির বনগাঁ সাংগঠনিক জেলার নবনিযুক্ত সভাপতি রামপদ দাস আসেন শান্তনু ঠাকুরের সাথে দেখা করতে। দীর্ঘ সময় ঠাকুরবাড়িতে অপেক্ষার পরে ফিরে যেতে হয় রামপদবাবুকে। দেখা হয়নি বা দেখা করতে পারেননি শান্তনু ঠাকুরের সাথে।
অভিমান মেটাতেই কি সাক্ষাৎ State BJP leaders meet Shantanu Thakur
পরপর এহেন ঘটনায় অস্বস্তি বাড়ছিল বিজেপির৷ মনে করা হচ্ছে অভিমান মেটাতে এদিন রাজ্য নেতৃত্ব শান্তনুর সাথে দেখা করেন। আলোচনা শেষে ঠাকুরবাড়ি ছাড়ার আগে সায়ন্তন বসু সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে জানান, যা বলার মন্ত্রী বলবেন। যদিও এ বিষয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া দিতে চাননি শান্তনু ঠাকুর।
——-
Published by Subhasish Mandal