সোমনাথ মজুমদার, বনগাঁ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : ঠাকুরনগর ঠাকুরবাড়িতে নিজের বাসভবনে দলের মতুয়া ঘনিষ্ঠ কয়েকজন বিধায়ককে নিয়ে বৈঠকে করলেন কেন্দ্রীয় জাহাজ ও জলপথ দফতরের প্রতিমন্ত্রী তথা বনগাঁ লোকসভার সাংসদ শান্তনু ঠাকুর। এদিনের বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন রানাঘাট দক্ষিণের বিধায়ক মুকুটমণি অধিকারী, বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া, গাইঘাটার বিধায়ক সুব্রত ঠাকুর। যদিও শারীরিক অসুস্থতার কারণে বৈঠকে অনুপস্থিত ছিলেন হরিণঘাটার বিধায়ক অসীম সরকার। হাসপাতালে ভর্তি রয়েছেন অসীম সরকার।
ফের মতুয়া ঘনিষ্ঠ বিধায়কদের নিয়ে বৈঠকে শান্তনু ঠাকুর Shantanu Tagore’s meeting with MLAs
এর আগে শনিবার কলকাতা পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসে বিজেপির বিক্ষুব্ধ নেতাদের নিয়ে বৈঠক করেন শান্তনু ঠাকুর। বৈঠকে হাজির ছিলেন সায়ন্তন বসু, জয়প্রকাশ মজুমদারের মতো নেতারাও। সেদিন বৈঠক শেষে একপ্রকার হুঙ্কারের সুরেই শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘একজন রাজ্য বিজেপিকে শেষ করে দিতে চাইছে’। পোর্ট ট্রাস্টের গেস্ট হাউসের বৈঠক বেশ তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক মহলের একাংশ। রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের দাবি বনগাঁ, বাগদা, গাইঘাটা, হরিণঘাটা এবং স্বরূপনগর প্রভৃতি এলাকা মতুয়া অধ্যুষিত। গত লোকসভা নির্বাচনে মতুয়া ভোটের ওপর নির্ভর করেই ভালো ফলাফল করে বিজেপি। মতুয়া ভোটব্যাঙ্ককে সামনে রেখে কেন্দ্রীয় নেতৃত্বের ওপর চাপ তৈরি করতে চাইছেন শান্তনু।
যদিও এদিনের বৈঠক শেষে শান্তনু ঠাকুর জানান, ‘এটা কোনও রাজনৈতিক বৈঠক ছিল না। মতুয়া মহাসঙ্ঘের বিভিন্ন কার্যকলাপ নিয়ে এদিনের বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে।’ বিজেপির ওপর চাপ তৈরি করতে কি বৈঠক করলেন? সাংবাদিকদের এ প্রশ্নের উত্তরও এড়িয়ে শান্তনু জানান, ‘রোজ রোজ একই প্রসঙ্গে কথা ভালো নয়।’
এদিন বৈঠক চলাকালীন মাঝপথে ব্যক্তিগত কারণ থাকায় বৈঠক সেরে বেরিয়ে যান বনগাঁ উত্তরের বিধায়ক অশোক কীর্তনীয়া। যাবার সময় সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ‘মতুয়াদের বিভিন্ন বিষয় নিয়ে এদিনের বৈঠক। তবে আপনাদের মাধ্যমে একটি কথা জানাতে চাই, মতুয়াদের এক জায়গায় রাখতে পারলে ভারতীয় জনতা পার্টিরই লাভ৷’
—–
Published by Subhasish Mandal