সুরজিৎ দাস, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা,নদিয়া: Scooter price paid in coins নদিয়ার কৃষ্ণনগর পালপাড়া মোড়ের কাছে একটি মোটরসাইকেল শোরুমে বন্ধুদের নিয়ে হাজির নদিয়ার ভীমপুর গোবরাপোতা মাছ বাজার এলাকায় বসবাসকারী যুবক রাকেশ পাঁড়ে। পছন্দমত স্কুটির দাম ৭০,০০০টাকা, যা সম্পূর্ণ খুচরো কয়েনে দিতে চায় ওই যুবক। চমকে যায় দোকানের কর্মচারী থেকে ম্যানেজার।
শোরুম ম্যানেজার থেকে সরাসরি মালিক ফোনাফুনি হয় বেশ খানিকটা সময়। এক টাকার কয়েন দোকানদার বাধ্য এইরকমই নানা সরকারি নিয়ম-নীতির কথা জেনেই হয়তো শেষমেষ রাজি হয়েছিলেন মালিক। এরপরে বস্তা করে নিয়ে আসা সেই কয়েন মেঝেতে ঢেলে গুনে টাকার অঙ্ক বুঝে নিতে শোরুমের বেশ কয়েকজন কর্মীদের গলদঘর্ম।
Scooter price paid in coins মায়ের ভিক্ষার জমানো খুচরো পয়সায় ছেলের স্কুটার, ৭০ হাজার কয়েন গুনতে গলদঘর্ম শোরুম কর্মচারীরা
সূত্রের খবর অনুযায়ী জানা যায়, রাকেশের বাবা ভুল্লুর পাঁড়ে। স্ত্রী ধুলু পাঁড়ে, এবং দুই ছেলে রেখে মারা যান বহুদিন আগে। তারপর থেকে সংসার চালানোর খরচ জোগাড় করতে ভিক্ষাবৃত্তি বেছে নিতে হয় মাকে। পাঁচ টাকা, দশ টাকা, দুই টাকা সংসারে লেগে যেত। সঞ্চয় বলতে এক টাকার কয়েন। রাকেশ ছোটো, বড় ছেলে বিবাহ করে থাকে শ্বশুর বাড়িতেই। তাঁর সাথে বিশেষ কোন যোগাযোগ নেই। তবে রাকেশ মায়ের অত্যন্ত আদরের, কলকাতায় লোহার তৈরি জিনিসপত্রের দোকানে কাজ করে। স্বল্প উপার্জনের মোটরসাইকেলের শখ কোনদিন পূরণ হবে না জানায় মাকে। ছেলের মুখে হাসি ফোটাতে মায়ের এপর্যন্ত জমানো দু বস্তা ১ টাকার কয়েন তুলে দেন তিনি। যদিও কিছুটা লজ্জিত হয়েই রাকেশ জানায় মায়েরও ইচ্ছে ছিল একটি স্কুটি আলো করে থাকুক আমাদের ভাঙ্গা ঘরে।
ছেলের স্বপ্ন পূরণ হল তবে সে হয়তো বুঝলোনা মায়ের জীবন যুদ্ধ।
Published by Samyajit Ghosh