মেয়ের উদ্যোগে বাড়িতে শুরু হয়েছিল দুর্গাপুজো। কিন্তু আজ সেই মেয়ে তাঁদের ছেড়ে চলে গিয়েছে বহুদূরে। আরজি কর-কাণ্ডে আজ তোলপাড় বাংলা তথা গোটা দেশ। ‘বিষাদময়’ উৎসবের আবহে মেয়ের ধর্ষণ ও খুনের সুবিচার চেয়ে বাড়ির উঠোনেই মঞ্চ বেঁধে ধরনায় বসেছেন আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ ও হাসপাতালের মৃত জুনিয়র চিকিৎসকের বাবা-মা। মেয়ের মৃত্যুর সুবিচারের দাবিতে পঞ্চমীর থেকে দশমী পর্যন্ত বাড়ির সামনে ধরনায় বসার কথা আগেই জানিয়ে ছিলেন তাঁরা। সেই মতো ধরনায় তিলোত্তমার বাড়ির সদস্যেরা।
আরও পড়ুন: Jaynagar: আরজি কর আবহে এবার জয়নগরকাণ্ড, উত্তাল বাংলা!
জানা গিয়েছে, গত ২০২২ ও ২০২৩, এই দুই বছর ধরে মহাড়ম্বরে দুর্গাপুজো হয়েছিল তিলোত্তমার বাড়িতে। নির্যাতিতার মা জানান, আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে এমডিতে ভর্তি হওয়ার পর থেকেই তিলোত্তমা চেয়েছিলেন বাড়িতেই ধুমধাম করে পুজো করতে। মেয়ের আবদারে শুরু হয়েছিল মা উমার আরাধনা। কিন্তু কে জানত ২০২৪-এ এমন মর্মান্তিক-ভয়াবহ সময় অপেক্ষা করছিল তার পরিবারের জন্য। এই পুজোর মূল উদ্যোক্তাই আজ আর নেই। পুজো শুরুর আগেই দুর্গার বিসর্জন। তাই পুজোর আনন্দ নয়, বিষাদই গ্রাস করেছে তিলোত্তমার পরিবারের সদস্যদের!
কী বললেন তিলোত্তমার মা-বাবা?
কিন্তু ন্যায়বিচারের আশা এখনও ছাড়েননি মৃত তরুণী চিকিৎসকের মা-বাবা। এদিন ধরনা মঞ্চ থেকেই তাঁরা সংবাদ মাধ্যমের মুখোমুখি হন, তবে সিবিআই-এর চার্জশিট প্রসঙ্গে এদিন কোনও উত্তর দিতে চাননি তাঁরা। এ প্রসঙ্গে তাঁরা বলেন, “ধরনা মঞ্চ থেকে এনিয়ে কোনও কথা বলবো না। পুজোর পর যা বলার বলব।”
তবে এদিন ধরনামঞ্চ থেকেই সরব হন মৃতার বাবা। তিনি বলেন, “আন্দোলন করে সকলে সরকারের উপর চাপ সৃষ্টি করতে চাইছে। কিন্তু সরকারের থোড়াই কেয়ার মনোভাব। প্রশাসন ঠিক চলছে না এটা আমরা ভালোই বুঝতে পারছি। তার ফলের এই অবস্থার সৃষ্টি হয়েছে।”