সোমনাথ মজুমদার, বনগাঁ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : করোনা রুখতে রাজ্য সরকারের জারি করা বিধিনিষেধের ফলে কমেছে ট্রেনের সংখ্যা। সমস্যায় পড়েছেন ফুল ব্যবসায়ীরা৷ প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন চালাতে হবে, এমনই দাবিতে রাত দুটো থেকে ঠাকুরনগর স্টেশনে রেল লাইনের উপর ফুলের ঝুড়ি ফেলে রেল অবরোধের সামিল হলেন ফুল ব্যবসায়ীরা৷ অবরোধের জের সমস্যায় পড়েন বনগাঁ-শিয়ালদা শাখার নিত্যযাত্রীরা৷
প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেন চালানোর দাবি, ঠাকুরনগরে ফুল ব্যবসায়ীদের অবরোধ-বিক্ষোভে উত্তেজনা Rail blockade of flower traders in Thakurnagar
রাজ্যের মধ্যে দ্বিতীয় বৃহত্তম ফুল বাজার উত্তর ২৪ পরগনার ঠাকুরনগর ফুল বাজার। হাওড়ার মল্লিকঘাটের পর সবথেকে বেশি ফুল আমদানি হয় ঠাকুরনগর বাজারে। এই মহকুমার বিভিন্ন ফুল চাষি তাঁদের উৎপাদিত ফুল যেমন নিয়ে আসেন এই বাজারে, পাশাপাশি আশেপাশের জেলা থেকেও ক্রেতারা আসেন এখানে৷ করোনার বাড়বাড়ন্ত ঠেকাতে রাজ্যজুড়ে একাধিক বিধিনিষেধ জারি হবার ফলে স্বভাবতই সমস্যায় পড়েছেন বাজারে আসা ব্যবসায়ী থেকে ক্রেতা সকলেই৷
ব্যবসায়ীদের দাবি মূলত রাত ৩টে ১৫ মিনিট ও ভোর ৪টে ৪০ মিনিটের প্রথম ও দ্বিতীয় ট্রেনে করে ফুল ব্যবসায়ীরা যাতায়াত করেন৷ বিধি-নিষেধের ফলে বন্ধ দুটি ট্রেন। ব্যবসায়ীদের ধারণা ছিল, ট্রেন বন্ধ থাকলেও গত বারের মতো স্টাফ স্পেশালে করে যাতায়াত করতে পারবেন। এদিন সকালে স্টাফ স্পেশালে উঠতে দেওয়া না হলে ক্ষোভে ফেটে পড়েন ফুলচাষিরা। ঠাকুরনগর স্টেশনের সামনে রেললাইনের ওপর ফুলের ঝুড়ি ফেলে শুরু করেন রেল অবরোধ। এ বিষয়ে স্থানীয় ব্যবসায়ী ভোলা বিশ্বাস বলেন, প্রথম ও দ্বিতীয় এই দুটি ট্রেন চাই। না হলে স্টাফ ট্রেন বা অন্য ট্রেন আমরা চলতে দেব না৷ রাত দুটো থেকে শুরু হওয়া রেল অবরোধ তুলতে দফায় দফায় অবরোধকারীদের সাথে কথা বলেন জিআরপি, আরপিএফ প্রতিনিধিরা। ফুল ব্যবসায়ীদের দাবি লিখিত প্রতিশ্রুতি না পেলে অবরোধ তোলা হবে না। স্বাভাবিকভাবেই এখনও চলছে অবরোধ। সমস্যায় পড়েছেন বনগাঁ, চাঁদপাড়া প্রভৃতি এলাকার নিত্যযাত্রীরা।
——-
Published by Subhasish Mandal