বছরের শুরুতে সেই ৫ই জানুয়ারি থেকে সংবাদ শিরোনামে একটানা নিজের জায়গা ধরে রেখেছে সন্দেশখালি। সপ্তাহের পর সপ্তাহ অতিক্রান্ত হচ্ছে, আর এক একটা নতুন নতুন ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে উঠছে সন্দেশখালি। নির্বাচনী আবহে তার পালে আরও হাওয়া লাগছে বলাই যায়। সম্প্রতি সন্দেশখালিকে কেন্দ্র করে ২টি ভিডিও ভাইরাল হয়েছে সোশ্যাল মিডিয়া থেকে সংবাদ মাধ্যমে। তবে তার সত্যাসত্য যাচাই করা হয়নি। কিন্তু সেই ভিডিও নিয়ে কার্যত সম্মুখ-সমরে বিজেপি-তৃণমূল।
এবার বঙ্গে ভোট প্রচারে এসে এই সন্দেশখালি প্রসঙ্গেই মন্তব্য করলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদী। ব্যারাকপুরে অর্জুন সিং-এর সমর্থনে প্রচারের মাঝে তিনি বলেন, ‘সন্দেশখালিতে কী হচ্ছে গোটা দেশ জানে। এখানকার অভিযুক্তদের প্রথমে তৃণমূল বাঁচাল। এখন ওরা নতুন খেলা খেলছে।’
মোদীর দাবি, সন্দেশখালির ঘটনায় মূল অভিযুক্ত শেখ শাহজাহানকে বাঁচাতে এখনও চেষ্টা করে চলেছে তৃণমূল। মোদী বলছেন, ‘সন্দেশখালির গুন্ডারা মহিলাদের ভয় দেখাচ্ছেন। কারণ অভিযুক্তের নাম শেখ শাহজাহান। ওর ঘর থেকে বোমা, বন্দুক উদ্ধার হচ্ছে। কিন্তু ভোটব্যাঙ্ককে খুশি করার জন্য তৃণমূল চাইছে সে যেন ক্লিনচিট পেয়ে যায়।’
উল্লেখ্য, শনিবার রাতেই কলকাতা এসে পৌঁছন প্রধানমন্ত্রী মোদী। রাজভবনে থেকেই পর পর চারটি সভা করেন তিনি। প্রথমে তিনি ব্যারাকপুরের বিজেপি প্রার্থী অর্জুন সিংয়ের সমর্থনে সভা করেন। এই সভা শেষে হুগলি লোকসভা কেন্দ্রের বিজেপি প্রার্থী লকেট চট্টোপাধ্যায়ের সমর্থনে সভা ছিল তাঁর। তারপর আরামবাগে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী অরূপকান্তি দিগরের সমর্থনে সভা ছিল তাঁর। শেষের সভাটি ছিল হাওড়া জেলার সাঁকরাইলে। সেখানে বিজেপি প্রার্থী রথীন চক্রবর্তীর সমর্থনে প্রচার সভা ছিল তাঁর। আগামী ২০মে এই কেন্দ্রগুলিতে ভোট রয়েছে।