কৌশিক বোস, দুর্গাপুর, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, Pacemaker controversy in Durgapur দুর্গাপুর ইস্পাত কারখানার অবসরপ্রাপ্ত কর্মী কাশীনাথ চৌধুরী। ডিএসপি টাউনশিপের এ-জোনের এসএন ব্যানার্জী রোডের বাসিন্দা তিনি। ২০১৬ সালে কলকাতার একটি বেসরকারি হাসপাতালে পেসমেকার বসানো হয় কাশীনাথ বাবুর বুকে। গত ডিসেম্বরে ফের বুকে ব্যথা অনুভূত হওয়ায় ৭৩ বছরের বৃদ্ধকে ভর্তি করা হয় দুর্গাপুরের বিধাননগরের একটি বেসরকারি হাসপাতালে। গত বছর ৯ ডিসেম্বর ওই বেসরকারি হাসপাতালে ফের অস্ত্রপচার হয় কাশীনাথ বাবুর। হার্টের গতি নিয়ন্ত্রণ করার জন্য বসানো হয় অত্যাধুনিক সিআরটি-ডি নামের একটি যন্ত্র। ১৩ ডিসেম্বর তিনি হাসপাতাল থেকে ছাড়া পান।
স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশের পরে টনক নড়ে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের Pacemaker controversy in Durgapur
অভিযোগ, কয়েকদিনের মধ্যে ফের বুকে ব্যথা শুরু হয় ওই বৃদ্ধের। এবং অস্ত্রোপচারের জায়গায় একটি ছোট গর্ত লক্ষ্য করেন তিনি। এরপর বুকে বসানো যন্ত্রটির বেশ কিছুটা বাইরে বেরিয়ে চলে আসে। কাশীনাথ বাবুর পরিবারের অভিযোগ, গোটা বিষয়টি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বলা হলেও তারা গুরুত্ব দেয়নি। অথচ ওই অস্ত্রপচারের খরচ বাবদ হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ কাশীনাথ বাবুর পরিবারের কাছ থেকে প্রায় সাত লক্ষ টাকা নেয়। পরিবারের পক্ষ থেকে গোটা বিষয়টি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং স্বাস্থ্য দফতরে মেল করে জানানো হয়। মেল পেয়ে তড়িঘড়ি জেলা স্বাস্থ্য দফতর দুর্গাপুরের বেসরকারি ওই হাসপাতাল কর্তৃপক্ষকে বিষয়টি খতিয়ে দেখার নির্দেশ দেয়। স্বাস্থ্য দফতরের নির্দেশের পরে নড়েচড়ে বসেন হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ।
অভিযোগ অস্বীকার হাসপাতাল কর্তৃপক্ষের Pacemaker controversy in Durgapur
মঙ্গলবার সকালে রোগী সহ পরিবারের সদস্যদের ডেকে পাঠানো হয় হাসপাতালে। কাশীনাথবাবুর ছেলে জানান, যে কোনও ভাবে তাঁর বাবাকে সুস্থ করে দিতে হবে। যদিও হাসপাতালের চিফ মেডিকেল সুপার ডাঃ দুর্গাদাস রায় জানান, সমস্ত অভিযোগ ভিত্তিহীন। বোর্ড মিটিং করে বিষয়টি খতিয়ে দেখা হচ্ছে। জেলা স্বাস্থ্য দফতরও এই ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে বলে সূত্রের খবর। গোটা ঘটনার বিষয়ে দুর্গাপুর ৯ নং ওয়ার্ডের প্রাক্তন কাউন্সিলর পল্লব রঞ্জন নাগ বলেন, ‘হাসপাতালের এটা চরম গাফিলতি। কড়া ব্যবস্থা নেওয়া দরকার।’
আরও পড়ুন : Belur Math open দেড় মাস পরে কোভিড বিধি মেনে ভক্তদের জন্য খুলে দেওয়া হল বেলুড় মঠ
____
Published by Julekha Nasrin