রাজীব ঘোষ, মুর্শিদাবাদ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: মুর্শিদাবাদের ফরাক্কার এখনও একটি গ্রামের যোগাযোগের রাস্তা বাঁশের সাঁকো। গ্রামটির নাম নোগরী। নদীটির নাম কালনোই। সেই নদীর উপরে বানানো বাঁশের সাঁকো। নোগরী গ্রামে প্রায় ৩০০ পরিবারের বসবাস। বহুবার প্রশাসনকে বলেও কোনও লাভ হয়নি। ভোট আসলে নেতারা মানুষকে স্বপ্ন দেখায় যে এবার স্বপ্ন পূরণ হবে। কিন্তু ভোট আসে ভোট যায়, বাঁশের সাঁকো বাঁশের থেকে যায়। এই নোগরী গ্রামে যেতে গেলে ঝাড়খণ্ড হয়ে যাওয়া যায় কিন্তু প্রায় ৪ থেকে ৫ কিলোমিটার ঘোরা পথে মানুষকে যাতায়াত করতে হয়। যাঁরা সাইকেল এবং হাঁটা পথে যাতায়াত করে তাঁরা এই বাঁশের সাঁকো প্রধান যাতায়াতের রাস্তা হিসেবে ব্যবহার করে।
বাঁশের সাঁকোই ভরসা ফরাক্কার ৩০০ পরিবারের Nagri village in Farakka
আরও পড়ুন : Arrested with fake currency in Baruipur বারুইপুরে ১৫টি জাল ৫০০ টাকা-সহ গ্রেফতার বাবা-ছেলে
গ্রামবাসীর অভিযোগ, এই বাঁশের সাঁকোর উপর দিয়ে জীবনের ঝুঁকি নিয়ে পারাপার করে ছাত্রছাত্রীরা স্কুলে যাতায়াত করে। অন্যদিকে এর উপর দিয়ে পারাপার করে পার্শ্ববর্তী গ্রামের ঢুলি পাহাড়ির বাসিন্দারা নিজেদের জমিতে চাষবাস করতে নোগরী গ্রামে যায়। বহু বার নেতাদের বললেও বাঁশের সাঁকোর বদলে একটি সেতু বানানোর আশ্বাস দিলেও কাজ হয়নি। কিন্তু একটি কাজ হয় ভোটের আগে সেটা নারকেল ফাটানোর কাজ। ফলে বাধ্য হয়ে জীবিনের ঝুঁকি নিয়ে ফরাক্কার নোগরী গ্রামে প্রায় ২৫০ থেকে ৩০০ পরিবার এই বাঁশের সেতু উপর দিয়ে পারাপার করে। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি প্রশাসন যেন সাধারণ মানুষের কথা চিন্তা করে একটি সেতু নির্মাণের কাজ শুরু করে।
যদিও স্থানীয় তৃণমূল কংগ্রেসের মেম্বার সানাউল্লা সেখ ফরাক্কার নোগরী বাসিন্দাদের সমস্যার কথা স্বীকার করেন। খুব তাড়াতাড়ি সেই সমস্যার সমাধান হবে বলে আশ্বাস দেন। তিনি আরও জানান ইতিমধ্যে ওই এলাকায় একটি সেতুর জন্য টেন্ডার করা হচ্ছে। খুব তাড়াতাড়ি সেতুর কাজও শুরু হয়ে যাবে।
—–
Published by Subhasish Mandal