বুদ্ধদেব পাত্র, পুরুলিয়া, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা : করোনা সংক্রামিত হচ্ছেন ডাক্তাররা। কলকাতার সব হাসপাতালেই করোনা আক্রান্ত হয়েছেন বহু ডাক্তার। দু দিন আগে শুধুমাত্র কলকাতাতেই ডাক্তার ও স্বাস্থকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন ২০০ বেশি ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী। বিভিন্ন জেলা হাসপাতালেও ব্যাপক হারে ডাক্তার নার্স করোনা সংক্রামিত হচ্ছেন। স্বাভআবিক ভাবেই স্বাস্হ্য পরিষেবা ভেঙে পড়তে পারে যে কোন সময়। এবার পুরুলিয়া সদর তথা গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোভিড আক্রান্ত হয়েছেন ১৮জন চিকিৎসক ৭জন নার্স একাধিক স্বাস্থ্যকর্মী সহ মোট ৩১জন।নেতুড়িয়া ব্লকের হাড়মাড্ডি ব্লক হাসপাতালে মোট ২২জন আক্রান্ত।অন্যদিকে ঝালদা ১ নাম্বার ব্লক হাসপাতালের ১জন চিকিৎসক সহ মোট ৬ জন স্বাস্থ্যকর্মী করোনা পজিটিভ।এবিষয়ে ঝালদা ১নং ব্লক স্বাস্থ্য আধিকারিক ডাঃ দেবাশীষ মন্ডল জানান। সামান্য উপসর্গ নিয়ে কয়েকজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীর কোভিড পরীক্ষা করানো হয়। তাদের রিপোর্ট পজেটিভ আসে । তাদের সকলকে হোম আইসোলেশনে রাখা হয়েছে।তারা সুস্থই রয়েছেন। আমাদের নজরে রয়েছে। তাছাড়া যারা সংস্পর্শে এসেছেন তাদেরও নমুনা পাঠানো হবে। সকলকে সতর্ক ও করোনা বিধি মেনে কাজ করার পরামর্শ দেওয়া হয়েছে।হাসপাতাল স্যানিটাইজেশন করা হচ্ছে। যদিও এক সাথে এতো স্বাস্থ্য কর্মী আক্রান্ত হওয়াতে সমস্যা হচ্ছে পরিষেবা দিতে। তবু পরিষেবায় যাতে খামতি না থাকে তার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।
পুরুলিয়া গভর্নমেন্ট মেডিক্যাল কলেজ এন্ড হাসপাতালের এম এস ভি পি ডঃ সুকোমল বিশোয়ি জানান।গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ এন্ড হাসপাতালে এখন ১৮জন চিকিৎসক ৭ জন নার্স এবং আরো অন্যান্য কর্মী ৫জন এবং একজন মেডিক্যাল স্টুডেন্ট সহ মোট ৩১জন কোভিডে আক্রান্ত।এর ফলে স্বাস্থ্য পরিষেবার কাজে বিঘ্নিত হচ্ছে।অন্যান্য কর্মী দিয়ে কাজ করতে হচ্ছে।তিনি বলেন হাসপাতালে কাজ করতে গিয়ে চিকিৎসকদের সামাজিক দূরত্ব বিধি, ঘন ঘন গ্লাভস চেঞ্জ বা হাত স্যানিটাইজ করা সম্ভব হচ্ছেনা।যার ফলে চিকিৎসকদের সতর্কতা অবলম্বন করার পরেও কোভিড আক্রান্ত হচ্ছে।
১০ই জানুয়ারি পর্যন্ত পুরুলিয়া জেলায় মোট কোভিড আক্রান্তের সংখ্যা ১১৯৭জন। শুধুমাত্র পুরুলিয়া শহরেই মোট আক্রান্ত ৩৬৫জন।রঘুনাথপুর শহরে ৩৫জন এবং ঝালদা শহর এলাকায় মোট আক্রান্তের সংখ্যা ১৮জন। পুরুলিয়া পৌরসভা এলাকায় এক ধাক্কায় করোনা আক্রান্তের সংখ্যা তিন শতাধিক পেরিয়ে যাওয়ায় বেশ উদ্বেগের পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে জেলা সদরের এই শহরে।