ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
রাজ্য ও রাজ্যপালের মধ্যে সংঘাতের কোন বিরাম নেই। অবিকাংশ ইস্যুতে সংঘাত লাগছে রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান রাজ্যপাল জগদীপ ধনকর ও নির্বাচিত রাজ্য় সরকারের সঙ্গে। হাওড়া ও বালি পুরসভার নির্বাচন পর্যন্ত করা সম্ভব হচ্ছে না রাজ্য ও রাজ্য়পালের এই সংঘাতের কারণে। অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যরা রাজ্য়পালের ডাকা বৈঠকে গরহাজির থেকেছেন। রাজ্যপাল সরাসরি উস্মা প্রকাশ করেছেন। এবার রাজ্যপালের ডাকে সাড়া দিলেন না মুখ্যসচিব ও ডিজি। যা নিয়ে রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করে বুধবার নিজের টুইটার পেজে একটি ভিডিও শেয়ার করেছেন।এদিন টুইটে একটি ভিডিয়োও পোস্ট করেছেন রাজ্যপাল। তিনি বলেছেন তিন বার তলব সত্ত্বেও মুখ্যসচিব ও ডিজির এইভাবে রাজভবন ‘বয়কট’ একটি ‘কনস্টিটিউশন্যাল ল্যাপস’ অর্থাৎ সাংবিধানিক ত্রুটি বলে উল্লেখ করেছেন। প্রসঙ্গত, এর আগে ১০ জানুয়ারিও মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি-র কাছে কৈফিয়ত তলব করেন রাজ্যপাল। সঙ্গে টুইটে লেখেন, “কার নির্দেশে বয়কট?”
CS @MamataOfficial DGP @WBPolice “boycott” WB Guv meeting (Re:LOP @SuvenduWB Netai visit) for second time in 3 days -actionable incondonable constitutional lapse by top officials @IASassociation @IPS_Association bearing out observation @India_NHRC in WB “Law of Ruler not of Law.” pic.twitter.com/gk765ihi9o
— Governor West Bengal Jagdeep Dhankhar (@jdhankhar1) January 12, 2022
প্রসঙ্গত, নেতাই দিবসে নেতাই যাওয়ার পথে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারিকে বাধা দেওয়ার অভিযোগ ওঠে রাজ্যপুলিশের বিরুদ্ধে। নেতাইয়ে শুভেন্দু অধিকারিকে শহিদ পরিবারের সঙ্গে দেখা করতে কোন রকম বাধা দেওয়া যাবে না । এই মর্মে আগেই কলকাতা হাইকোর্টের বিচারপতি রাজ্য প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছিল। এই নির্দেশকে অমান্য করেই শুভেন্দুকে নেতাই প্রবেশে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। ইতিমধ্যেই কোর্টের আদেশ অমান্য করায় ফের হাইকোর্টের দ্বারস্থ হয়েছেন শুভেন্দু। এই বিষয় নিয়েই শুভেন্দু অধিকারীকে বাধা দেওয়ার অভিযোগে রিপোর্ট তলব করেছিলেন রাজ্যপাল। মুখ্যসচিব ও ডিজিপিকে রাজভবনে তলব করেছিলেন। কিন্তু করোনা ও গঙ্গাসাগরের কারণে ‘নির্দেশ’ অনুযায়ী যাচ্ছেন না, জানিয়ে পাল্টা চিঠি দিয়েছিলেন মুখ্যসচিব ও রাজ্য পুলিশের ডিজি। এরপর রাজ্যপাল ফের প্রশ্ন তোলেন, কার নির্দেশে তাঁরা রাজভবন ‘বয়কট’ করেছেন? যদিও সে প্রশ্নেরও কোনও উত্তর মেলেনি। তারপরই বুধবার টুইট করে মুখ্যসচিব ও ডিজির বিরুদ্ধে চরম উস্মা প্রকাশ করেছেন।
কদিন আগেই চিত্তরঞ্জন ক্যানসার হাসপাতালের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসের ভার্চূয়াল উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী সরাসরি রাজ্য়পালের বিরুদ্ধে সরকারের বিভিন্ন নীতি রূপায়ণে নাক গলানোর অভিযোগ তুলেছিলেন। সেই অনুষ্ঠানে ছিলেন রাজ্য়পাল জগদীপ ধনকর ও । প্রধানমন্ত্রী অবশ্য কোন মন্তব্য করেননি। রাজ্য় ও রাজ্য়পালের সংঘাত আপাতত বিরামের পূর্বাভাস নেই। এই পরিস্থিতিতে বিষয়টি কতটা জলঘোলা হয় সেটাই এখন দেখার।