সঞ্জিত সেন, পূর্ব বর্ধমান, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: Festival of Colours at Burdwan বর্ধমান রাজপরিবারের ঐতিহ্য মেনে দোলের পরের দিন দোল উৎসবে মাতল বর্ধমান শহরবাসী। দোল পূর্ণিমার দিনে যখন সারা দেশ মাতোয়ারা ছিল রঙের উৎসবে, তখন বর্ধমানবাসী প্রস্তুতি নিচ্ছিল দোল উৎসবের। আসলে বর্ধমান রাজাদের আমল থেকেই এই প্রথা চলে আসছে। কথিত আছে, প্রায় ৩৫০ বছর আগে তৎকালীন বর্ধমানের মহারাজ মহাতাব চাঁদ এই প্রথা চালু করেছিলেন।
বর্ধমান রাজ পরিবারের পুরোহিত উত্তম মিশ্র বলেন, দোল পূর্ণিমার দিনে সারা দেশের সঙ্গে বর্ধমানের মহারাজারাও দোল উৎসবে মেতে উঠতেন। ওই দিন রাজ পরিবারের কুলদেবতা লক্ষ্মীনারায়ণ জিউ মন্দিরে ঠাকুরের পায়ে আবির দেওয়ার মাধ্যমে শহরে দোল উৎসবের সূচনা করা হত। যেহেতু ওই দিন ঠাকুরের দোল হত তাই বর্ধমান শহরবাসী দোল উৎসবে সামিল হতেন না। একদিন পরে শহরবাসী দোল উৎসবে মেতে ওঠেন। সেই প্রথাকে সম্মান জানিয়ে আজও বর্ধমান শহরবাসী দোলের দিন রং খেলেন না। দোলের একদিন পর আজ হোলিতে মেতে ওঠেন তাঁরা।
আজ হোলি উৎসবকে কেন্দ্র করে শহরের ওলিতে-গলিতে দেখা যাচ্ছে ছোট ছোট ছেলেমেয়েদের আনন্দ উচ্ছাস। আবির খেলা থেকে জলে গোলা রঙ কোনও কিছুই বাদ যায়নি। বেলুন ফুলিয়ে তার মধ্যে রঙ ভরা হচ্ছে। যাতে ছোট ছোট ছেলেমেয়েরা অনেকটা দূর থেকে একে অন্যকে রঙ মাখাতে পারে। করোনার প্রকোপে গত দুই বছর রঙ খেলা হয়নি। এবার করোনার প্রকোপ কম, তাই রঙ খেলার আনন্দ চুটিয়ে উপভোগ করছে ছোট থেকে বড় সকলেই। এই উৎসবকে কেন্দ্র করে আজ সকাল থেকই শহরের আকাশ রঙিন হয়ে উঠেছে।
Festival of Colours at Burdwan
আরও পড়ুন : Basanta Utsav at Howrah গানে-নৃত্যে বসন্তোৎসবে মাতল সাঁতরাগাছি, আবিরে রাঙানো হল সকলকে
আরও পড়ুন : Clashes at Durgapur on Holi রং খেলাকে কেন্দ্র করে দফায় দফায় সংঘর্ষে উত্তপ্ত দুর্গাপুর
————
Published by Subhasish Mandal