শনিবার দুপুরে শিয়ালদহ আদালতের অতিরিক্ত জেলা ও দায়রা বিচারক অনির্বাণ দাসের এজলাসে কলকাতা পুলিশের প্রাক্তন সিভিক ভলান্টিয়ার সঞ্জয়কে আরজি কর-কাণ্ডে (RG Kar Case) দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে৷ এদিন নির্যাতিতার বাবা প্রতিক্রিয়ায় বলেন, “বিচারক যেভাবে আমাদের ব্যাপারটাকে দেখেছেন, সেজন্য ওঁর কাছে কৃতজ্ঞ। আমরা বিচারের প্রথম সিঁড়ি পার করেছি।”
সঞ্জয়ের দাবি কী?
রায় (RG Kar Case) শুনে সঞ্জয়ের দাবি, “হুজুর আমি কোনোরকমের ঘৃণ্য অপরাধ করিনি । আমি যদি এই ঘৃণ্য অপরাধ করতাম তাহলে সেদিন আমি গলায় যে রুদ্রাক্ষের মালা পরেছিলাম তা ছিঁড়ে পড়ে যেত । কিন্তু সেই রুদ্রাক্ষের মালা ছিঁড়ে যায়নি, পড়েও যায়নি। আমি এখনও গলায় সেই রুদ্রাক্ষের মালা পরে রয়েছি।” তবে এমন কোনও মালার উপস্থিতির কথা উড়িয়ে দিয়েছেন কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার আইনজীবী পার্থসারথি দত্ত।
এদিন বিচারক পাল্টা বলেন, ‘সিবিআই আপনার বিরূদ্ধে যে যে অভিযোগ এনেছে, যাবতীয় তথ্যপ্রমাণের পরিপ্রেক্ষিতে আপনাকে দোষী সাব্যস্ত করা হয়েছে। আপনার বাকি কথা সোমবার শোনা হবে।’
আরও পড়ুন: RG Kar Case-এ নয়া মোড়! কেন্দ্রীয় ফরেনসিক রিপোর্টের চাঞ্চল্যকর তথ্য প্রকাশ্যে
এদিন রায়ে (RG Kar Case) বিচারক জানিয়েছেন, ধর্ষণের ঘটনায় সর্বোচ্চ ১০ বছর বা তার বেশি কারাদণ্ড হতে পারে। খুনের ঘটনায় ২৫ বছর থেকে সর্বোচ্চ যাবজ্জীবন পর্যন্ত কারাদণ্ড হতে পারে। যে ভাবে সঞ্জয় গলা টিপে হত্যা করেছেন, তাতে সর্বোচ্চ মৃত্যুদণ্ড হতে পারে তাঁর।
উল্লেখ্য, ২০২৩-এর ৯ অগাস্ট, কলকাতার আরজি কর হাসপাতালের (RG Kar Case) নারকীয় ঘটনাটি প্রকাশ্যে এসেছিল। হাসপাতালের মধ্যে তরুণীল চিকিসক-পড়ুয়াকে ধর্ষণ করে খুন করার অভিযোগ উঠেছিল, তোলপাড় হয়েছিল বাংলা তথা গোটা দেশ। মূল ঘটনার ৫ মাস ৯ দিন পর শনিবার সেই মামলায় রায় ঘোষণা করল শিয়ালদহ আদালত।