আরও বাড়বে তিস্তার জল। পাহাড় থেকে বীভৎস গতিতে সর্বগ্রাসী রূপ নিয়ে ধেয়ে আসছে তিস্তা। ৫০ ফুট পর্যন্ত তিস্তার জল বাড়ার সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সিকিমের চুংথাঙে নোলক হ্রদ ফেটেই এই বিপত্তি বলে জানা গিয়েছে। সিকিমের একাধিক জায়গা জলের তলায় চলে গিয়েছে। পাহাড় গ্রাস করে এবার সমতলের দিকে ধেয়ে আসছে তিস্তা। ভাসিয়ে নিয়ে আসছে দেহ,ঘর-গৃহস্থালি। এখনও পর্যন্ত কতজনের ঠিক মৃত্যু হয়েছে তা স্পষ্ট করে জানা যায়নি। তবে অনেক ঘরবাড়ি যেভাবে ভেসে আসছে তাতে মৃতের সংখ্যা অগুনতি হতে পারে। এদিকে পর্যটকদের নিয়েও উদ্বেগ বাড়ছে। ১লা অক্টোবর থেকে পাহাড়ে পর্যটনের মরশুম শুরু হয়ে গিয়েছে। একাধিক জায়গায় হোম স্টে গুলি খুলে গিয়েছে। একাধিক অফবিট পর্যটন কেন্দ্রে এখন ভিড় করেন পর্যটকরা। হঠাৎ করে এই বিপর্যয়ে সেই সব জায়গার পরিস্থিতি নিয়ে উদ্বেগ প্রকাশ করেছে প্রশাসনিক আধিকারীকরা। সিকিমে মূলত রাজ্যের পর্যটকের সংখ্যাই বেশি হয়। উত্তর সিকিমেই পর্যটকরা বেশি যান। মনে করা হচ্ছে এই পরিস্থিতিতে সিকিমে অনেক পর্যটক আটকে রয়েছেন। ইতিমধ্যেই সিকিমের মুখ্যমন্ত্রী ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে বেরিয়েছেন। এদিকে সিকিমের চুংথামে হ্রদ ফাটা বৃষ্টি জেরে উত্তরবঙ্গে বন্যা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে। ১০ নম্বর জাতীয় সড়কের উপর দিয়ে বইছে জল। দার্জিলিংয়ের সঙ্গে সিকিমের যোগাযোগ পুরো বিচ্ছিন্ন হয়ে গিয়েছে। এদিকে আবার আগামী ৪৮ ঘণ্টা ভারী বর্ষণের সতর্কতা জারি করেছে আবহাওয়া দফতর। ইতিমধ্যেই উত্তরবঙ্গের পরিস্থিতি খারাপ হতে শুরু করেছে। একাধিক জায়গায় তিস্তা বিপদসীমার উপর দিয়ে বইতে শুরু করেছে। তিস্তার জলস্রোত আরও বাড়তে পারে বলে সতর্ক করা হয়েছে। ভোর রাতে তিস্তার জলস্তর ১০ থেকে ১৫ ফুট পর্যন্ত বেড়ে গিয়েছিল। ধীরে ধীরে বেলা বাড়ার সঙ্গে জলসতর কিছুটা কমলেও পরে আবারও তিস্তার জলস্তর বাড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হয়েছে। ৫০ ফুট পর্যন্ত বাড়তে পারে তিস্তার জল। সতর্ক করেছে সেনাবাহিনী। ইতিমধ্যেই সেনাবাহিনীর ২৩ জন জওয়ান নিখোঁজ হয়ে গিয়েছেন।