অনশনের ১৭দিন। সোমবার নবান্নে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে ফের বৈঠকে বসলেন জুনিয়র ডাক্তাররা। অনশনে অনড় থেকেই মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে এই বৈঠক করেন তাঁরা। জুনিয়র ডাক্তাররা ছাড়াও এই বৈঠকে আরজি কর মেডিক্যাল কলেজে, কলকাতা মেডিক্যাল কলেজ-সহ একাধিক মেডিক্যাল কলেজের সুপাররা উপস্থিত ছিলেন। উপস্থিত ছিলেন মুখ্যসচিব মনোজ পন্থ, স্বরাষ্ট্রসচিব নন্দিনী চক্রবর্তী, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগম। এই বৈঠকেই ফের উঠল স্বাস্থ্য সচিবকে অপসারণ প্রসঙ্গ।
কী জানা গিয়েছে?
এদিন মূলত ১০ দফা দাবি নিয়েই আলোচনা হয় নবান্নের বৈঠকে। সেই আলোচনা চলাকালীন মূলত তিন বিষয়ে মতানৈক্য হয় দু’পক্ষের। যার জেরে কখনও কখনও ‘গরম’ হয়েছে ১২৮ মিনিটের ওই বৈঠক।
সোমবারের বৈঠকে মূলত তিনটি বিষয়ে মতানৈক্য দেখা যায়। এগুলি হল- আরজি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে ৪৭ জনের সাসপেনশন, স্বাস্থ্যসচিব নারায়ণস্বরূপ নিগমের অপসারণ এবং প্রতিটি মেডিক্যাল কলেজে টাস্ক ফোর্স গঠন। এর মধ্যে গত শনিবার ধর্মতলার অনশনমঞ্চে আন্দোলনকারীদের সঙ্গে ফোনে কথা বলার সময়েই মুখ্যমন্ত্রী জানিয়ে দিয়েছিলেন যে, স্বাস্থ্যসচিবের অপসারণ সম্ভব নয়। সোমবারের বৈঠকে এই বিষয়টিই ফের স্পষ্ট করে দেন তিনি।
আরও পড়ুন: RG Kar Protest: মেয়ের উদ্যোগে পুজো শুরু হয়েছিল: ধরনা মঞ্চে চোখে জল তিলোত্তমার বাবা-মা-এর
এদিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, ‘নিজেরা নিজেদের ইগো নিয়ে থেকে গেলে কিন্তু সলিউশন আসবে না। পরিস্থিতি এবার স্বাভাবিক করুন।’ এদিকে আন্দোলনকারীদের মধ্যে একজন পাল্টা বলেন, ‘আন্দোলন আপনার থেকেই শিখেছি।’ তখন মমতা বলেন, ‘মানবাধিকার কমিশনের দাবিতে ২১ দিন ধরনা করেছিলাম। সিঙ্গুর নিয়ে ২৬ দিন অনশন করেছি। কেউ আসেনি। গোপালকৃষ্ণ গান্ধী ব্যক্তিগতভাবে আমাকে ভালবাসতেন বলে এসেছিলেন।’