আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে উত্তাল সমগ্র বাংলা। বিচারের দাবিতে প্রতিদিনই চলছে মিছিল, হচ্ছে জমায়েত। মঙ্গলবার ছিল পশ্চিমবঙ্গ ছাত্র সমাজের ডাকে নবান্ন অভিযান। সেখানে পুলিশি হেনস্তার অভিযোগ উঠেছে। এর প্রেক্ষিতেই বুধবার ১২ ঘণ্টা ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি (BJP Bangla Bandh)। সকাল ৬টা থেকে বনধ শুরু হয়েছে। অত্যাচারের প্রতিবাদে এই বনধকে সফলকে করতে আহ্বান জানাচ্ছে বিজেপি। সকাল থেকেই রাস্তায নামেন রূপা গাঙ্গুলি, অগ্নিমিত্রা পাল, লকেট চ্যাটার্জির মতো বিজেপি নেত্রীরা।
জানা গিয়েছে, বুধবার বনধের (BJP Bangla Bandh) সমর্থনে রাস্তায় নেমে আটক হন রূপা গাঙ্গুলি। গড়িয়াহাটে বনধের সমর্থনে রাস্তায় বাসচালক ও যাত্রীদের কাছে তিনি অনুরোধ করেন যাতে তাঁরা বনধকে সমর্থন করেন। ঠিক তখনই আটক করা হয় তাঁকে। অন্যদিকে, ভবানীপুরে সকাল থেকে রাস্তায় নামেন অগ্নিমিত্রা পাল। গাড়ি না চালাতে তিনি অনুরোধ করেন চালকদের।
এদিকে, বনধ (BJP Bangla Bandh) ঘিরে শ্যামবাজারে মুখোমুখি হয় রাজ্যের শাসক এবং বিরোধী দল। শ্যামবাজারে দুই দলের মধ্যে ধস্তাধস্তি শুরু হয়। গ্রেফতার হন লকেট চট্টোপাধ্যায় এবং রাহুল সিনহা। উল্লেখ্য, এই একই দিনে আবার রয়েছে তৃণমূল ছাত্র পরিষদের প্রতিষ্ঠা দিবসের অনুষ্ঠান। তবে কি বুধবার ফের চরম অশান্তির আশঙ্কা রয়েছে? সেই প্রশ্ন কিন্তু উঠতে শুরু করেছে।
আরও পড়ুন: RG Kar News : নবান্ন অভিযানে সমর্থন আছে বিজেপির, জানালেন Sukanta Majumdar
বুধবার বিজেপির এই বাংলা বনধ (BJP Bangla Bandh) প্রসঙ্গে রাজ্য সরকারের সাফ বার্তা, জনজীবন সচল থাকবে। নবান্নে সাংবাদিক সম্মেলন করে মুখ্যমন্ত্রীর মুখ্য উপদেষ্টা আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, ‘বুধবারের বনধ মানা হবে না। সবকিছু চালু থাকবে। সকলের কাছে অনুরোধ বনধের অংশ হবেন না।’ এর পাশাপাশি, সরকারি কর্মীদের কাজে যোগ দেওয়ারও নির্দেশ দেওয়া হয়।