উত্তরপ্রদেশের মানুষ বিজেপিকে ক্ষমতা থেকে সরিয়ে সমাজবাদী পার্টির হাতে ক্ষমতা হস্তান্তর করার জন্য ইতিমধ্যেই মনস্থির করে ফেলেছে। ইন্ডিয়া নিউজের মঞ্চে এসে এসপি সভাপতি অখিলেশ এমনই দাবী করেছেন। তিনি বলেন বিজেপির যোগী সরকার জনগণকে দেওয়া প্রতিশ্রুতি পূরণ করেনি। পরিস্থিতি এমন পর্যায়ে পৌঁচ্ছেছে যে, মুদ্রাস্ফীতি, বেকারত্ব সহ আরও অনেক সমস্যায় উত্তরপ্রদেশ আজ জর্জরিত।
উত্তর প্রদেশের সাধারণ মানুষ আজ বাবা, ষাঁড় এবং বুলডোজারে বিরক্ত(Akhilesh Yadav On India News Manch)
রাজ্যে মেয়েরাও নিরাপদ নয়।অখিলেশ যাদব যোগী সরকারকে কটাক্ষ করে বলেন যে উত্তর প্রদেশের সাধারণ মানুষ আজ বাবা, ষাঁড় এবং বুলডোজারে বিরক্ত। এনসিআরবি পরিসংখ্যান তুলে ধরে অখিলেশ বলেন যে ইউপিতে মেয়েরা আজ সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিপূর্ণ। পুলিশ হেফাজতে দেশের মধ্যে সব থেকে বেশি সংখ্যক9 মানুষের মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে উত্তরপ্রদেশে। ইউপিতে নৈরাজ্য চলছে পুলিশ পাবলিককে মারছে, পাবলিক মারছে পুলিশকে। ইন্ডিয়া নিউজ মঞ্চে অখিলেশ যাদব দাবী করেন তিনি বিভিন্ন ইস্যু নিয়ে কথা বলেন কিন্তু বিজেপি ইস্যু নিয়ে কথা বলে না। তিনি বলেন জিনিসপত্রের দাম লাগামছাড়া, মানুষের মাসিক রোজগার অর্ধেক হয়ে গেছে। নেই কোনো কারখানা বা শিল্প। ইউপিতে ক্ষুদ্র শিল্প মুখ থুবড়ে পড়েছে। উত্তরপ্রদেশে সমাজবাদী পার্টি ক্ষমতায় এলে সরকারি চাকরিতে শূন্য পদ পূরণ করা হবে। কর্মসংস্থানের জন্য দৃঢ় পদক্ষেপ নেওয়া হবে এবং শিক্ষা ও প্রশিক্ষণে গুরুত্ব দেওয়া হবে।
বিজেপির কারণে শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ বিলম্বিত হচ্ছে(Akhilesh Yadav On India News Manch)
অখিলেশ যাদব ইন্ডিয়া নিউজ মঞ্চে বলেন করোনা আবহে নির্বাচনের প্রচারে ডিজিটাল মাধ্যমে প্রচারের জন্য প্রস্তুত তার দল।অখিলেশ যাদব বলেছেন যে আমরা ডিজিটাল নির্বাচনী প্রচারের জন্য প্রস্তুত। নির্বাচন যে এমন হবে তা কেউ কল্পনাও করেনি। করোনার কারণে নির্বাচন স্থগিত হওয়ার আশঙ্কা ছিল। আমাদের পুরো ক্যাডার শারীরিকভাবে প্রস্তুত। বিপুল সংখ্যক মানুষ গ্রামে গ্রামে গিয়ে প্রচার করবে। এই পরিস্থিতিতে নির্বাচন কমিনের ছোট দল গুলোর কথা ভাবা উচিত বলে জানান অখিলেশ। একই সঙ্গে অখিলেশ অভিযোগ করেন বলেন। বিজেপির কারণে শ্রী রাম মন্দির নির্মাণ বিলম্বিত হচ্ছে।, তিনি বলেন যে সুপ্রিম কোর্টের সিদ্ধান্তের পরে শ্রী রাম মন্দির তৈরি হচ্ছে। মন্দির প্রকল্পে বিলম্ব করছে বিজেপি। বারানসীতে, এসপি সরকার পুরোহিতদের সম্মানী দেওয়ার কাজ করেছে।