আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে আন্দোলনে সামিল চিকিৎসকেরাও৷ এদিকে তাঁদের কাজে ফিরে আসার সময়সীমা বেঁধে দিয়েছে সুপ্রিম কোর্ট। অন্যদিকে আবার চিকিৎসকদের, আলোচনাতে বসার জন্য আহ্বানও জানান মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়৷ তবে মঙ্গলবারও নিজেদের অবস্থানে অনড় ছিলেন চিকিৎসকেরা৷ স্বাস্থ্যভবন অভিযানে যোগ দেন তাঁরা। প্রতীকী মস্তিষ্ক এবং প্রতীকী চোখ নিয়ে ‘স্বাস্থ্যভবন সাফাই অভিযানে’ নামেন সকলে।
কী জানা যাচ্ছে?
আরজি কর-কাণ্ডের প্রতিবাদে জুনিয়র ডাক্তারদের লালবাজার অভিযানের কেন্দ্রে ছিল শিরদাঁড়া। কলকাতা পুলিশকে নিজের দায়িত্ব মনে করাতে এভাবেই শিরদাঁড়া হাতে পুলিশ হেডকোয়ার্টারে শান্তিপূর্ণ অভিযান করেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা। আর এবার একইরকমভাবে স্বাস্থ্য ভবন অভিযানে ডাক্তারদের হাতে উঠে এল ঝাঁটা এবং মগজ। সেই সঙ্গে প্রতিবাদ মিছিলে ছিল চোখের মডেলও। জুনিয়র চিকিৎসকদের দাবি, স্বাস্থ্য ভবনের চোখ নেই, আবার মাথা খাটিয়েও কাজ করছেন না স্বাস্থ্য আধিকারিকরা, তাই তাদের দায়িত্ব মনে করিয়ে দিতে এই পদক্ষেপ নেন জুনিয়র চিকিৎসকেরা৷
আরও পড়ুন: RG Kar News: ‘এক মাস হয়ে গেল, এ বার পুজোয় ফিরুন’, আন্দোলন ভুলে উৎসবে ফিরতে বললেন Mamata
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যে জুনিয়র চিকিৎসকরা ৩২দিন ধরে আন্দোলনে সামিল তাঁদের সঙ্গে আলোচনায় বসতে চেয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু জুনিয়র চিকিৎসকরা সাফ জানিয়ে দিয়েছেন এই ইমেলে তাঁরা সাড়া দিতে পারছেন না।
কী বার্তা চিকিৎসকদের?
জানা যায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় ৬টা ১০ মিনিট নাগাদ আন্দোলনকারী জুনিয়র চিকিৎসকদের কাছে রাজ্য সরকারের পক্ষ থেকে একটি ইমেল পাঠানো হয়। তাতে বলা হয়, আন্দোলনকারীদের প্রতিনিধি দল নবান্নে এসে সরকারের শীর্ষস্থানীয় প্রতিনিধিদের সঙ্গে দেখা করতে পারে। এই ইমেলে ‘এখন’ শব্দটিও লেখা ছিল। সেই সঙ্গে উল্লেখ করে দেওয়া হয়েছিল যে, প্রতিনিধি দলে সর্বোচ্চ ১০ জন থাকতে পারবেন। সরকারের তরফে ওই ইমেলটি পাঠিয়েছিলেন রাজ্যের স্বাস্থ্যসচিব। শুধু তাই নয়, প্রতিনিধি দলে কারা থাকবেন, পাল্টা মেলে সেটাও জানাতে বলা হয়েছিল। এই ইমেল পাঠানোর পর প্রায় ৮০ মিনিট অপেক্ষা করে সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা নাগাদ বাড়ি ফিরে যান মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এদিকে জুনিয়র চিকিৎসকদের মতে, ওই মেলের ভাষা ‘অপমানজনক’ মনে হওয়ায় তাঁরা নবান্নে যাননি।