ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
করোনায় তৃতীয় ঢেউয়ে রাজ্যে ইতিমধ্যেই আক্রান্ত হয়েছেন হাসপাতালের বহু ডাক্তার ও স্বাস্থ্য কর্মীরা। কলকাতার সুপার স্পেশালিটি হাসপাতাল এস এস কে এমে গত ২৪ ঘন্টায় আক্রান্ত হয়েছিলেন ২৬ জন । গত তিন দিনে সংখ্যাটা ৫০ ছাড়িয়েছে। একসঙ্গে এতজন ডাক্তার ও স্বাস্থ্যকর্মী করোনায় আক্রান্ত হওয়ায় পিজি হাসপাতালে রোগীদের চিকিত্সা পরিসেবা কিভাবে সামাল দেওয়া যাবে তা নিয়ে গভীর সংকটে পড়েছে পি জি হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ। পরিস্থিতি এতটাই উদ্বেগজনক যে তড়িঘড়ি বৈঠক কর হোম আইসোলেশন বা নিভৃতবাস পর্ব পাঁচ দিনে কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নিয়েছে এসএসকেএম কর্তৃপক্ষ।
ন্যাশনাল মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে আক্রান্ত ৮০
এ পর্যন্ত চিকিৎসক, নার্স, স্বাস্থ্যকর্মী মিলিয়ে মোট ৮০ জন করোনাভাইরাস সংক্রমিত হয়েছেন। আক্রান্ত কয়েক জন ছাত্র এবং হাউস স্টাফ হস্টেলেই নিভৃতবাসে রয়েছেন বলে হাসপাতাল সূত্রের খবর। হস্টেলে থাকা সকলেরই আরটি-পিসিআর পরীক্ষা করানো হচ্ছে।
জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মোট ৪৬ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত।
করোনা থাবা বসাল জেলা হাসপাতালেও। হাওড়ার উলুবেড়িয়া মহকুমা হাসপাতালের সুপার-সহ কোভিড আক্রান্ত হলেন আরও ছ’জন চিকিৎসক। এমনকি হাসপাতালের ছ’জন স্বাস্থ্য কর্মীও করোনা আক্রান্ত হয়েছেন। সব মিলিয়ে, জেলা স্বাস্থ্য দফতরের মোট ৪৬ জন কর্মী করোনা আক্রান্ত।
৪৬ জনের মধ্যে রয়েছেন দু’জন ডেপুটি সিএমওএইচ, চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীও। আক্রান্তদের মধ্যে অধিকাংশ হোম আইসোলেশনে রয়েছেন। জেলার মুখ্য স্বাস্থ্য আধিকারিক নিতাইচন্দ্র মণ্ডল জানিয়েছেন ‘‘দু’জন ডেপুটি সিএমওএইচ ছাড়াও চিকিৎসক এবং নার্সরা কোভিডে আক্রান্ত। তবে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য সব রকম চেষ্টা করা হচ্ছে।’’
এসএসকেএমে সাংবাদিক বৈঠকে এসএসকেএমের চিকিৎসক দীপ্তেন্দ্র সরকার বললেন, “যেহেতু ওমিক্রনের ক্ষেত্রে উপসর্গ মারাত্মক আকারে হচ্ছে না, তাই যেটার ওপর সবচেয়ে বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে, তা হল হোম আইসোলেশন বেসড ট্রিটমেন্ট। সেক্ষেত্রে একমাত্র শ্রেষ্ঠ ওষুধ প্যারাসিটামল।”
মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ৭ দিনে প্রায় ২১ জনের মতো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত
এসএসকেএমের আক্রান্ত ডাক্তারদের মধ্যে কার্ডিওলজি,, ENT, সহ একাধিক বিভাগের চিকিত্সকের কোভিড রিপোর্ট পজিটিভ এসেছে। করোনা আক্রান্তদের যাঁরা চিকিৎসা করছেন, সেই চিকিৎসক, স্বাস্থ্যকর্মীরাই মারাত্মকভাবে আক্রান্ত হচ্ছেন। তাহলে প্রশ্ন, পরিষেবা দেবেন কারা? আর আহমেদ ডেন্টাল কলেজ, চিত্তরঞ্জন সেবা সদন, নীলরতন সরকার মেডিক্যাল কলেজ, আরজিকর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও ৭ দিনে প্রায় ২১ জনের মতো চিকিৎসক ও স্বাস্থ্যকর্মী আক্রান্ত হয়েছেন।এত পরিমাণ চিকিৎসক, নার্স আক্রান্ত হচ্ছেন, তাতে নিভৃতবাস পর্ব কমিয়ে আনার সিদ্ধান্ত নেওয়া হচ্ছে এসএসকেএমের তরফে।