সুরজিত দাশ, নদিয়া, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
Alleged beating of a young man at a drug rehabilitation center
নেশা মুক্তি কেন্দ্রে যুবককে পিটিয়ে মারার অভিযোগ
সুস্থ জীবনের জন্য জীবনদ্বীপ ফাউন্ডেশনে এসে জীবনটাই শেষ হয়ে গেল। এমনই গুরুতর অভিযোগ উঠেছে নেশামুক্তি কেন্দ্রের বিরুদ্ধে। সাবরাজ দফাদার (৩৯)। নাকাশিপাড়ার বিলকুমারি এলাকার বাসিন্দা। বহু চেষ্ঠা করেও বাড়ির লোকজন সাবরাজের নেশা ছাড়াতে পারেনি। বাধ্য হয়ে তার নেশা ছাড়াতে নেশা মুক্তি কেন্দ্রে ভর্তি করেছিল। কিন্তু নেশাতো ছাড়া দূর, প্রাণ হারাতে হল সাবরাজ দফাদারকে। তাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগে উঠলো বার্ণিয়ার এক নেশা মুক্তি কেন্দ্রের কর্তৃপক্ষের বিরুদ্ধে।
নাকাশিপাড়ার বিলকুমারি এলাকার বাসিন্দা সাবরাজ দফাদার । জানা যায় নাকাশিপাড়া থানা এলাকার বিলকুমারী গ্রামের বাসিন্দা সাবরাজ দফাদার বেশ কয়েক বছর ধরে মদ্যপান করতেন। একদিকে নিম্নবিত্ত পরিবারের হওয়ার কারণে তিনবেলা খাওয়ার জোগাতেই হিমশিম খাচ্ছিলেন তার পরিবার, অন্যদিকে কাজ না করে সে নিত্যদিন মদ্যপান করে বাড়িতে ঢুকতো। এই কারণেই বার্নিয়ার একটি নেশা মুক্তি কেন্দ্র সঙ্গে তারা যোগাযোগ করে। এলাকার বাসিন্দাদের অভিযোগ যেহেতু ওই পরিবারের পক্ষ থেকে চিকিৎসা করা সম্ভব ছিল না সেই কারণেই তারা বার্নিয়ার ওই নেশা মুক্তি কেন্দ্র ভর্তি রাখার ব্যব্স্থা করে।
সাবরাজের মৃতদেহ বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়
Alleged beating of a young man at a drug rehabilitation center
কিন্তু ভর্তির একদিন পরেই বাংলা নেশা মুক্ত কেন্দ্রের তরফ থেকে কিছু না জানিয়ে সাবরাজের মৃতদেহ বাড়ির সামনে রেখে চলে যায়। স্থানীয় এবং পরিবারের দাবি নেশা করলে ও শারীরিকভাবে সুস্থ ছিলেন। এক দিনের মধ্যে কিভাবে তার মৃত্যু ঘটলো তা নিয়ে যথেষ্ট সন্দেহ রয়েছে। এলাকার বাসিন্দাদের দাবি পিটিয়ে মেরে ফেলা হয়েছে। যদিও শরীরের বাইরে সেভাবে ক্ষতচিহ্ন না থাকলেও ঠিক কীভাবে তার মৃত্যু ঘটলো তা ময়না তদন্তের পরই জানা যাবে। খবর পেয়ে ঘটনাস্থলে আসে নাকাশিপাড়া থানার পুলিশ। মৃতদেহটি উদ্ধার করে ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে। যদিও এই ঘটনায় নেশা মুক্তি কেন্দ্র কর্তৃপক্ষের কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি।