মালদা, ১৪ ডিসেম্বর ।
Eye-catching wedding in Malda মেয়ের বিয়ের দিনক্ষণ ঠিক করে ফেলেছিলেন মনোরঞ্জন দাস ।আত্মীয় পরিজন বাড়ি আসতে শুরু করেছেন। মাংসের দোকানের সামান্য কর্মচারী মনোরঞ্জনবাবু বিয়র খরচের জন্য অনেকটাই নির্বর করেছিলেন নিকট পরিজনদের ওপর। টাকা দার দেওয়ার জন্য প্রতিশ্রুতিও দিয়েছিলেন। কিন্তু মুখ ফিরিয়ে নেয় তারা। বাধ্য হয়ে মেয়ের বিয়ে বন্ধ করে দেওয়ার মনস্থির করেই ফেলেছিলেন।
Eye-catching wedding in Malda
অসহায় মনোরঞ্জন দাসের মেয়ের শেষপর্যন্ত হল। কোনমতে চার হাত এক করে নয়, বাজলো ডিজে , মেকাপে সাজানো হলো কনেকে। পাত পেড়ে পোলাও , খাসির মাংস সবজি খেলো বর পক্ষ থেকে নিমন্ত্রতরা। ধুমধাম করে সম্পন্ন হলো মনোরঞ্জনবাবুর একমাত্র মেয়ের বিয়ে। সৌজন্যে “নতুন প্রজন্ম” নামে এক স্বেচ্ছাসেবী সংস্থা।
পুরাতন মালদা পুরসভার ২ নম্বর ওয়ার্ডে বাঁশহাটির নিবাসী মনোরঞ্জন দাসের প্রথমা কন্যা ঝর্না দাশের সঙ্গে বিয়ে হল নদীয়া জেলার নিবাসী অভিরাম বাড়ুই-এর সঙ্গে।। ঝর্নার আইবুড়ো ভাত থেকে ছাদনাতলা সাজানো কনের মেকআপ, প্যান্ডেল, ফটোগ্রাফি, চা,কফি থেকে অতিথিদের পাত পেড়ে খাওয়ানো কোনটাই বাকি নেই, এমনকি মেনু কার্ডে রক্তদানের বার্তা। এই সংগঠনের প্রত্যেকটি সদস্য এক একটি বিষয়ে পারদর্শী। কেউ বা ফটোগ্রাফি, কেউ বা নিয়েছেন জলের দায়িত্ব, কেউবা দই-মিষ্টির। ১৩ ডিসেম্বর শুভবিবাহ, ১৪ ডিসেম্বর সকালে কনে বিদায়। এই অভিনব সমাজকর্মে রাজসাক্ষী পুরাতন মালদা সহ নদীয়া থেকে আসা বরযাত্রী ২০০ বরযাত্রীও।
রণজিত দাশ, মালদা