সাম্যজিৎ ঘোষ, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
সরাসরি জানিয়ে দেওয়া হল, বিরাট মিথ্যা বলছেন। সাংবাদিক বৈঠকে কোহলি যেভাবে একের পর এক বিস্ফোরণ ঘটালেন, সেটা বিসিসিআইও নীরবে সহ্য করল না। কোহলি দাবি করেছিলেন, কেউ তাঁকে টি-২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে অনুরোধ করেনি।
এদিকে গত সেপ্টেম্বরেই তাঁকে টি-২০ অধিনায়কত্ব “না” ছাড়তে অনুরোধ করা হয়েছিল। দক্ষিণ আফ্রিকার মাটিতে মহাগুরুত্বপূর্ণ টেস্ট সিরিজ। কিন্তু বোর্ডের এক কর্তা সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমে স্পষ্ট জানিয়ে দিলেন, ‘সেই সেপ্টম্বরেই টি-২০ অধিনায়কত্ব নিয়ে বোর্ড কর্তারা কথা বলেছিলেন কোহলির সঙ্গে। আমরা সেপ্টেম্বরেই ওর সঙ্গে কথা বলেছিলাম। অনুরোধ করেছিলাম টি-২০ অধিনায়কত্ব না ছাড়তে। কিন্তু একবার ও সিদ্ধান্ত নিয়ে নেওয়ার পর সাদা বলের ক্রিকেটে দু’জন অধিনায়ক রাখা সম্ভব ছিল না।’
তিনি বলছেন, ‘নির্বাচক প্রধান চেতন শর্মা দল নির্বাচনের বৈঠকের দিন সকালেই কোহলিকে জানিয়ে দেন, তিনি আর অধিনায়ক থাকছেন না।’ মোদ্দা কথা বোর্ডের ওই কর্তার বক্তব্য অনুসারে সাংবাদিক বৈঠকে বিরাট যা যা বলেছেন, তার অধিকাংশই মিথ্যা।
নিন্দুকেরা বলেন, ভারতীয় ক্রিকেটে এখন দুটি পাওয়ার সেন্টার তৈরি হয়েছে। একদিকে সৌরভ গঙ্গোপাধ্যায়ের বোর্ড। অন্যদিক, কোহলি-শাস্ত্রী জুটি। রবি শাস্ত্রীও দিন কয়েক আগে নাম না করে বিসিসিআই প্রেসিডেন্টকে নিশানা করেছিলেন। দাবি করেছিলেন, তাঁর দলের সাফল্যে অনেকেই নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছিল। সেটা সম্ভবত ছিল বিরাট-শাস্ত্রী শিবিরের প্রথম তির। দ্বিতীয় তিরটি এদিন ছুঁড়লেন বিরাট নিজে। লক্ষ্য একটাই, সৌরভের বোর্ডের বিরুদ্ধে ক্ষমতা হারানোর ‘বদলা’ নেওয়া।
Published by Subhasish Mandal