বাঁশদ্রোণী থানায় রাতভর ধরনায় বসেছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি। বৃহস্পতিবার সকালে তাঁকে (Roopa Ganguly) গ্রেফতার করল পুলিশ। বিজেপি নেত্রীকে বাঁশদ্রোণী থানা থেকে নিয়ে যাওয়া হল লালবাজারে।
কী জানা গিয়েছে?
উল্লেখ্য, মহালয়ার সকালে বাঁশদ্রোণীতে পে লোডারের ধাক্কায় প্রাণ হারায় নবম শ্রেণির এক ছাত্র। এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এলাকা। বুধবার দিনভর বিক্ষোভ দেখান স্থানীয় বাসিন্দারা। পাটুলি থানার ওসিকে আটকে রেখে বিক্ষোভ চলে। পাটুলি থানায় দয়ের হয় চারটি মামলা।
এদিকে বিজেপি নেত্রী রুবি মণ্ডল সহ মোট পাঁচ জনকে গ্রেফতার করা হয়। এরই প্রতিবাদে রাতেই বাঁশদ্রোণী থানার সামনে বিক্ষোভ দেখাতে শুরু করেন বিজেপি কর্মী ও সমর্থকরা। তাঁদের নেতৃত্ব দিচ্ছিলেন বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলি (Roopa Ganguly)। তাঁদের বক্তব্য, কোনও অভিযোগ ছাড়াই রুবি মণ্ডল-সহ অন্যদের গ্রেফতার করা হয়েছে, কিন্তু ছাত্র-মৃত্যুর ঘটনায় অভিযুক্তদের কেউই গ্রেফতার হয়নি।
আরও পড়ুন: RG Kar Case: রাজ্যজুড়ে পূর্ণ কর্মবিরতি শুরু জুনিয়র চিকিৎসকদের
পুলিশের এই পদক্ষেপের বিরোধিতায় বাঁশদ্রোণী থানার ভিতরে ঢুকে পড়েন রূপা এবং বাইরে বিক্ষোভ দেখাতে থাকেন বিজেপি কর্মীরা। টানা ১৪ ঘণ্টা অবস্থানের পর পুলিশের কাজে বাধা দেওয়ার অভিযোগে গ্রেফতার করা হয় রুপা গাঙ্গুলিকে (Roopa Ganguly)।
বিজেপি নেত্রী রূপা গাঙ্গুলিকে গ্রেফতার করে লালবাজারে নিয়ে যায় পুলিশ। জানা গিয়েছে, বাঁশদ্রোণীতে পুলিশি নিরাপত্তা ও তৎপরতা জোরদার করা হয়েছে।