ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: ভারতীয় ক্রিকেট গত কয়েক মাসে একের পর এক বিতর্কের সাক্ষী হয়েছে। সর্বশেষ পর্বের কেন্দ্রে অভিজ্ঞ উইকেটরক্ষক-ব্যাটার ঋদ্ধিমান সাহা। টেস্ট দলে ভবিষ্যৎ তার কাছে বন্ধ হয়ে গেছে। এই আঘাত পাওয়ার পর নিজেকে সামলাতে পারেননি ঋদ্ধিমান। আবেগতাড়িত হয়ে বলেছিলেন বোর্ড সভাপতির যখন আশ্বাস পেয়েছিলেন, তারপর নতুন করে এসে তাঁকে ঘুরিয়ে অবসরের কথা বলেন। হঠাৎ করেই বদলে গেছে তাঁর পৃথিবী। এর মধ্যেই তাঁর অভিযোগ এক সাংবাদিক নাকি তাকে হুমকিও দিয়েছেন। এর প্রেক্ষিতে নড়েচড়ে বসেছে বিসিসিআই। কারণ ক্রিকেটমহলে প্রাক্তন ক্রিকেটাররা জবাব চাইছেন। কেন ঋদ্ধির মত ক্রিকেটারকে হুমকি দেওয়া হবে? কারা এর সঙ্গে জড়িত? এর পেছনে কোন চক্র আছে? ম্যাচ গড়াপেটা কেলেঙ্কারির সর ভারতীয় ক্রিকেটে এক নতুন চাঞ্চল্য! ক্রিকেটে এটা কি নতুন কেলেঙ্কারি হতে যাচ্ছে? উত্তর খুঁজছে বিসিসিআই।
Bcci investigation on Wriddhiman Saha
After all of my contributions to Indian cricket..this is what I face from a so called “Respected” journalist! This is where the journalism has gone. pic.twitter.com/woVyq1sOZX
— Wriddhiman Saha (@Wriddhipops) February 19, 2022
তাই তড়িঘড়ি বিসিসিআই কিছু নিয়ম নির্দেশিকা এনেছে, বিশেষ করে সংবাদমাধ্যমের ক্ষেত্রে। আর একইসঙ্গে তদন্তের নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। ঋদ্ধিমান, বোর্ড সভাপতি যে তাঁকে বার্তা দিয়েছিলেন তা কেন জনসমক্ষে বলা হয়েছে। এইসব উত্তর চেয়েছে ঋদ্ধিমানের কাছে।
ঋদ্ধিমান, কথিতভাবে একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে নাকি অপমানজনক হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা পেয়েছিলেন। শনিবার (ফেব্রুয়ারি ১৯) টুইটারে ঋদ্ধিমান সেই কথিত হুমকির টুইট প্রকাশ করেন। এবং “তথাকথিত” সাংবাদিকের হোয়াটসঅ্যাপ বার্তা প্রকাশ করেন। তিনি লেখেন এতদিন দেশ সেবা করার এই পুরস্কার পাওয়া গেল, এটাই কি সাংবাদিকতা?
ঋদ্ধিমানকে হুমকি দেওয়ার বিষয়ে তদন্তে বিসিসিআই
সাম্প্রতিক ঘটনাবলী অনুসারে, বোর্ড অফ কন্ট্রোল ফর ক্রিকেট ইন ইন্ডিয়া (BCCI) দোষীকে খুঁজে বের করার জন্য এই বিষয়ে একটি “পুঙ্খানুপুঙ্খ তদন্ত” করার আহ্বান জানিয়েছে। ঋদ্ধিমান যে সাক্ষাৎকার দিয়েছেন এবং শেয়ার করা টুইটের “প্রতিটি বিশদ বিবরণ” তদন্ত করা হবে। আর কোনো ক্রিকেটার এমন সংকটের মধ্য দিয়ে গেছেন কিনা তাও জানতে আগ্রহী বিসিসিআই।
বিসিসিআই বিষয়টি গভীরে তদন্ত করতে চায়, বলেছেন বোর্ডের এক কর্তা
“সাহা বিসিসিআইয়ের একজন চুক্তিবদ্ধ ক্রিকেটার। নিজের খেলোয়াড়কে আগলে রাখার দায়িত্ব বোর্ডের। তা বাদ দিয়ে, এখানে কর্মক্ষেত্রে যদি কোনও ধরণের চক্র থাকে তবে তা খতিয়ে দেখতে হবে, “এদিকে, সাহা, ইএসপিএনক্রিকইনফোকে তার সাক্ষাৎকারে জানিয়েছেন যে বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলি তাকে দলে জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।
“সবচেয়ে বড় ধাক্কা ছিল যখন আমি কানপুরে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ৬১ রান করি , চোট থাকা সত্ত্বেও। দাদি ( বিসিসিআই সভাপতি সৌরভ গাঙ্গুলিকে উল্লেখ করা হয়), আমাকে অভিনন্দন জানাতে টেক্সট করেছিলেন এবং বলেছিলেন যে তিনি পদে থাকা পর্যন্ত আমার কিছু নিয়ে চিন্তা করার দরকার নেই। . স্বাভাবিকভাবেই, এক সিরিজের পরপরই আমাকে যা বলা হয়েছিল তাতে আমি হতবাক হয়ে গিয়েছিলাম,” অভিজ্ঞ ক্রিকেটারকে উদ্ধৃত করে বলা হয়েছিল।
উল্লেখযোগ্যভাবে, বেশ কয়েকটি পূর্ববর্তী প্রতিবেদনে দাবি করা হয়েছে যে গাঙ্গুলি সাম্প্রতিক অতীতে বাছাই মিটিংগুলিতে অংশ নিচ্ছেন। তাই ঋদ্ধিমানের বক্তব্য বিতর্ককে আরও বাড়িয়ে দিয়েছে। অন্যদিকে বিসিসিআইয়ের এক কর্মকর্তা প্রচন্ড চটেছেন এই ঘটনায়। “বিসিসিআই কর্মকর্তার ( সভাপতির) ঋদ্ধির সাথে কথা বলার এবং তাকে দলে জায়গা দেওয়ার আশ্বাস দেওয়ার কী দরকার ছিল? ‘সে না থাকা পর্যন্ত আমার চিন্তা করার দরকার নেই’। কিতনি গালত বাত হ্যায় ইয়ে (এরকম কিছু বলা কতটা ভুল),” কর্মকর্তারা যোগ করেন।
“প্রথমে বিরাটের ঘটনা, তারপর এই সব। এবং তারপরে তিনি (সাহা) স্ক্রিনশটের সেই টুইটটি (একজন সাংবাদিকের কাছ থেকে প্রাপ্ত বার্তা) পোস্ট করেছেন। এইসব কি ঘটছে? বোর্ডকে সঠিক কাজ করতে হবে কারণ যথেষ্ট হয়েছে এবার সমাধান করতে হবে, বলেছেন ওই কর্তা।
Published by Samyajit Ghosh