ফের প্রদেশ নেতৃত্বে বদলের জল্পনা। ইন্ডিয়া জোটের সমীকরণ যত পাকাপাকি ভাবে রূপ নিতে চলেছে, তত এই জল্পনা তীব্র হচ্ছে। বর্তমান প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরি এই মুহূর্তে লোকসভার বিরোধী দলনেতা ছাড়াও কংগ্রেস ওয়ার্কিং কমিটির অন্যতম একজন গুরুত্বপূর্ণ সদস্য। আবার পাঁচ রাজ্যের বিধানসভা ভোটের নির্বাচন কমিটিতে প্রথম পাঁচজনের মধ্যেও নাম অধীর চৌধুরির । এই পরিস্থিতির মধ্যে তাঁর উপর বাড়তি চাপ কমানোর প্রসঙ্গটি আলোচনায় এসেছে। আবার বঙ্গে তৃণমূলের সঙ্গে আসন সমঝোতা হলে তার পরিস্থিতিও তৈরি রাখতে হবে। সেরকম হলে রাজ্যে কট্টর তৃণমূল-বিরোধী ভূমিকা থেকে সরে আসতে হবে কংগ্রেস নেতৃত্বকে। এই প্রসঙ্গেই চলতি বছর দ্বিতীয়বার ফিরে এসেছে প্রাক্তন সভাপতি প্রদীপ ভট্টাচার্যের নাম।
প্রদীপবাবু শেষবার তৃণমূলের সমর্থনে কংগ্রেসের হয়ে রাজ্যসভায় গেছিলেন। তৃণমূলের প্রতি তিনি তুলনামূলক ভাবে নরম হলেও কোনও কোনও মহলে প্রচার রয়েছে। প্রদেশ নেতৃত্বের তরফ থেকে এমন জল্পনা একেবারে উড়িয়ে না দেওয়া হলেও দু’টি বিষয় স্পষ্ট করে দেওয়া হয়েছে। প্রথমত, দলটার নাম কংগ্রেস। এমনও হয়েছে প্রার্থী ঘোষণার পর দেওয়ালে নাম লিখে তা মুছে দেওয়া হয়েছে। ফলে জল্পনায় যা-ই থাকুক না কেন, সব নির্ভর করছে এআইসিসির উপর।
আর দ্বিতীয়ত, শেষপর্যন্ত যদি নেতৃত্বের বদলও হয়, সেক্ষেত্রে অধীর চৌধুরির অনুমোদনে তাঁর পছন্দেরই কেউ হয়তো দায়িত্ব পাবেন। তার এই মুহূর্তের সব থেকে বড় কারণ হলো দলে জাতীয়স্তরে অধীর চৌধুরির অবস্থান রয়েছে। এই বিষয়টিকেই বেশি গুরুত্ব দেওয়া হচ্ছে। প্রদীপবাবুর নাম কিন্তু সেদিক থেকেও এগিয়ে আছে বলে জানাচ্ছে নেতৃত্ব। এক রাজ্য নেতার কথায়, অধীরবাবুর সঙ্গে প্রদীপবাবুর সমীকরণ অত্যন্ত ভাল। ‘ভারত জোড়ো’ যাত্রায় বঙ্গের অংশে প্রদীপবাবু চেয়ারম্যান থাকলে প্রতিপদে সভাপতির সঙ্গে আলোচনা করে নিতেন। তাছাড়া প্রদীপবাবু এই মুহূর্তে সকলের সিনিয়র। তাঁকে সভাপতি করা হলে দলের কোনও মহলেই মেনে নিতে আপত্তি থাকবে না।
প্রাক্তন সাংসদ দেবপ্রসাদ রায়ের নামও আবারও এই প্রসঙ্গের আলোচনায় উঠে এসেছে। একটি মহল অবশ্য সভাপতি পদে বদলের সাথে সাথে ৪ বা ৫ সদস্যের কার্যকরী সভাপতি দলের জল্পনার কথাও জানাচ্ছে। সেক্ষেত্রে নেপাল মাহাতো, মনোজ চক্রবর্তী, শঙ্কর মালাকার, শুভঙ্কর সরকার-সহ একজন মহিলা প্রতিনিধিও থাকতে পারেন।