‘সৎসঙ্গে’ গিয়ে যে এমন মর্মান্তিক পরিস্থিতির সম্মুখীন হতে হবে তা বোধ হয় কেউই কল্পনা করতে পারেননি! মঙ্গলবার উত্তর প্রদেশের হাথরসে বাবা নারায়ণ হরি ওরফে সাকার বিশ্ব হরি ‘ভোলে বাবা’র (Hathras Satsang Bhole Baba) সৎসঙ্গে বড়সড় দুর্ঘটনা ঘটে যায় যা প্রাণ কেড়ে নিয়েছে কমপক্ষে ১২১ জনের এবং আহত হয়েছেন আরও প্রায় শতাধিক।
কী জানা গিয়েছে?
জানা গিয়েছে, ভোলে বাবার (Hathras Satsang Bhole Baba) পায়ের ধুলো নিতে এবং আশীর্বাদ পেতে ভক্তরা তাঁর সওয়ারির পিছনে ছুটে যাওয়ার সময়ই এই দুর্ঘটনা ঘটে। সেবায়েতরা জনতাকে সামাল দিতে গেলে একে অপরের ঘাড়ের উপর পড়ে সকলে। পদপিষ্ট হয়ে প্রাণ যায় অনেকের। এদিকে, এই দুর্ঘটনার পর থেকেই পলাতক ‘ভোলে বাবা’। পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, হাথরসে দুর্ঘটনার পর থেকে ভোলে বাবা তাঁর রাম কুটির চ্যারিটেবল ট্রাস্ট আশ্রমে পৌঁছন। উত্তরপ্রদেশের পুলিশ ভোলে বাবার সন্ধানে সেই আশ্রমে পৌঁছয়, কিন্তু, তাঁর সন্ধান পাওয়া যায়নি। এই মুহূর্তে হাথরসের ঘটনায় তোলপাড় গোটা দেশ।
আরও পড়ুন : Hathras Stampede-এর ঘটনায় শোকপ্রকাশ PM Modi’র, তদন্তের আশ্বাস Yogi Adityanath-এর
কিন্তু কে এই স্বঘোষিত গডম্যান?
জানা গিয়েছে, এই স্বঘোষিত গডম্যান ‘ভোলে বাবা’ (Hathras Satsang Bhole Baba) এতাহ জেলার পাতিয়ালি তহসিলের বাহাদুর গ্রামের বাসিন্দা। ভোলে বাবার দাবি, সাধক হওয়ার আগে তিনি ইন্টালিজেন্স ব্যুরোতে কাজ করতেন। ধর্মপ্রচারক হওয়ার জন্য ২৬ বছর আগে সরকারি চাকরি ছেড়ে দেন তিনি। গোটা দেশে তাঁর অগণিত ভক্ত রয়েছেন, তবে হরিয়ানা, রাজস্থান, পশ্চিম উত্তরপ্রদেশ, উত্তরাখণ্ড, এবং দিল্লিতে তাঁর ভক্তের সংখ্যা সর্বাধিক। অন্যান্য গডম্যানরা সোশ্যাল মিডিয়াতে সক্রিয় থাকলেও, ‘ভোলে বাবা’ কিন্তু এই ডিজিটাল দুনিয়া থেকে দূরে থাকতেই পছন্দ করেন বলে জানা গিয়েছে।
জানা যায়, উত্তরপ্রদেশের আলিগড়ে প্রতি মঙ্গলবার ভোলে বাবার অনুষ্ঠান থাকে। যেখানে হাজার হাজার ভক্ত দর্শনে পৌঁছয়। কিন্তু গত মঙ্গলবারের ঘটনার পর থেকেই এই স্বঘোষিত ধর্মগুরুকে গ্রেফতারের দাবি উঠেছে।