বিপদ যেন কাটতেই চাইছে না। করোনার ক্ষত এখনও মানুষের মনে টাটকা। তার মধ্যেই একের পর এক ভাইরাসের আগমনে মানুষের জীবনযাত্রা বারবার ব্যাহত হচ্ছে। এই যেমন নাইল ভাইরাসের কথাই ধরুন। নয়া এই ভাইরাসের সংমক্রণে জ্বরে আক্রান্ত হচ্ছে ছোট থেকে বড় সকলেই। জানা গিয়েছে, আফ্রিকার নীল নদের আশপাশের এলাকা থেকে এই জ্বরের উদ্ভব। কিন্তু সেই জ্বরই এখন থাবা বসিয়েছে কেরলে।
কেরলে বাড়তে থাকা এই জ্বরকে মাথায় রেখে কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের পক্ষ থেকে ইতিমধ্যেই বাড়তি সতর্কতা জারি করা হয়েছে। সাধারণ মানুষকে সতর্ক থাকার কথা বলা হয়েছে। কারণ বিশেষজ্ঞরা ইতিমধ্যেই জানিয়েছেন যে, ওয়েস্ট নাইল ভাইরাস মশাবাহিত রোগ। কিউলেক্স মশা থেকে এই রোগ মানুষের শরীরে আসে। পাখির মাধ্যমে এই রোগ মশার শরীরে আসে। সেখান থেকেই ছড়ায় মানুষের দেহে।
আফ্রিকা, ইউরোপ, নর্থ আমেরিকা এবং মধ্য এশিয়ায় এই রোগের প্রকোপ বেশি। যেহেতু মশার থেকে এই রোগ ছড়াচ্ছে মানুষের দেহে, তাই বাড়িঘর অত্যন্ত পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন রাখা আবশ্যিক। মশার বংশবিস্তার রুখতে পারলে এই রোগকেও দূর করা সম্ভবপর হতে পারে।
রোগের উপসর্গ
চিকিৎসকরা জানাচ্ছেন, এই রোগে জ্বর, সর্দি-কাশি এবং মাথার যন্ত্রণার মতো উপসর্গ দেখা যেতে পারে। শরীরে ব়্যাশও দেখা দিতে পারে। সেক্ষেত্রে বাড়তি সতর্কতা জরুরি। কিন্তু অনেক সময়েই এই ভাইরাসের প্রভাব মস্তিষ্কে পড়ে। এর জেরে স্নায়ুতন্ত্রও কার্যকারিতা হারিয়ে ফেলে। তখন প্রাণসংশয় দেখা দিতে পারে। চিকিৎসকদের একাংশ জানান, ডায়াবেটিস, উচ্চ রক্তচাপের মতো সমস্যা থাকলে এই রোগ বিপদ বাড়ায়।