তামার খনিতে লিফট ছিঁড়ে ভয়াবহ দুর্ঘটনার সাক্ষী থাকল রাজস্থান। মঙ্গলবার রাতে এই দুর্ঘটনা ঘটে রাজস্থানের ঝুনঝুন এলাকার হিন্দুস্থান কপার লিমিটেড কোলিহান খনিতে। দুর্ঘটনার খবর পেয়ে প্রায় সঙ্গে সঙ্গে শুরু হয় উদ্ধারকার্য। শেষ পাওয়া খবরল অনুযায়ী, আটকে থাকা ১৪ জনকে উদ্ধার করা হয়েছে। এঁদের মধ্যে ৩ জনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। তাদের চিকিৎসা চলছে।
ঠিক কী ঘটেছিল?
জানা গিয়েছে, খনিটি ১৮০০ ফুট গভীর। লিফট ছিঁড়ে ৫৭৭ ফুট গভীরে ঝুলছিল। মঙ্গলবার রাতে ঘটা ওই দুর্ঘটনায় আটকে পড়া ১৪ জনের মধ্যে কলকাতা থেকে যাওয়া আধিকারিকরাও ছিলেন। রাতেই খনির পরিস্থিতি খতিয়ে দেখতে ঘটনাস্থলে পৌঁছে গিয়েছিলেন বিজেপির স্থানীয় বিধায়ক ধর্মপাল গুর্জর। নিচে আটকে পড়াদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিতে চিকিৎসক এবং নার্সদের আট সদস্যের একটি দলকে অন্য একটি পথে খনির ভিতরে পাঠানো হয়েছিল। ৯টি অ্য়াম্বুল্যান্সও দাঁড় করিয়ে রাখা ছিল। রাতভর অভিযান চালিয়ে বুধবার সকালে খনির ভিতরে গিয়ে আটকে থাকা সকলকেই উদ্ধার করা হয় বলে জানা গিয়েছে।
উল্লেখ্য, দেশের ৫০ শতাংশ তামা ঝুনঝুন এলাকার ক্ষেত্রী পাহাড় থেকে উত্তোলন করা হয়। এখানে ৩০০টিরও বেশি ভূগর্ভস্থ খনি থেকে রয়েছে। খনিতে কলকাতার হিন্দুস্থান কুপার লিমিটেডের ভিজিল্যান্স টিম এবং ক্ষেত্রী কপার কর্পোরেশনের বহু আধিকারিকই আটকে পড়েছিলেন। তাঁরা হলেন, জিডি গুপ্তা, এ কে বাইহরা, হানসি রাম, বিনোদ শেখাওয়াত, ভি ভান্ডারি, রমেশ কুমার, এএ ভান্ডারি, এন সহায়, এ কে শর্মা, কেএস সেহলট, প্রীতম সিং, বিকাশ পারীক প্রমুখরা।