ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা:
সম্প্রতি কেন্দ্রীয় সরকার সাধারণতন্ত্র দিবস এবং নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসুর জন্মবার্ষিকী একসঙ্গে পালন করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। আর সেই অনুষ্ঠানে বিভিন্ন প্রদেশের ট্যাবলো থাকলেও বাংলার ট্যাবলো রাখা হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার। আর সেখানেই প্রবল আপত্তি জানিয়েছেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।সাধারণতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়া যাবে না। কেন্দ্রীয় সরকারের প্রধানমন্ত্রীর কাছে আজ মমতা ব্যানার্জি চিঠি দিয়ে এই দাবি জানালেন। বিষয়টির পুনর্বিবেচনার আর্জি জানিয়ে খোদ বাংলার মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চিঠি লিখলেন প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীকে। এক্ষেত্রে যদি প্রধানমন্ত্রী আন্তরিকতা না দেখান তাহলে তা হবে চরম অপমান। কারণ নেতাজিকে নিয়ে গোটা ভারতবাসী তথা বাঙালির আবেগ জড়িয়ে রয়েছে।
নবান্ন সূত্রে খবর, স্বাধীনতার ৭৫ বছরে নেতাজি সুভাষচন্দ্র বসু এবং তাঁর গঠিত আইএনএ–কে নিয়ে ট্যাবলো তৈরি করে তা রাজধানীর বুকে নামাতে চেয়েছিল পশ্চিমবঙ্গ সরকার। আর সেখানেই আপত্তি জানিয়েছে কেন্দ্রীয় সরকার।হাতে আর ১০ দিন বাকি। তারপরেই দেশজুড়ে পালিত হবে সাধারণতন্ত্র দিবস। কিন্তু সেই অনুষ্ঠানে বাংলার ট্যাবলো কী বাদ থাকবে? এই প্রশ্নই এখন জাতীয় রাজনীতির অলিন্দে ঘুরপাক খাচ্ছে। কারণ প্রতিরক্ষা মন্ত্রক রাজ্য সরকারের প্রস্তাবে রাজি হয়নি। বরং সেই প্রস্তাব খারিজ করে দেওয়া হয়েছে। আর তাতেই ক্ষুব্ধ নবান্ন এবার বাংলার ট্যাবলো পাঠাবে বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছিল। এই পরিস্থিতিতে এবার বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়ার সিদ্ধান্ত পুনর্বিবেচনা করুন বলে মোদীকে চিঠি লিখে আর্জি জানালেন মমতা।
আজ দুপুরে মুখ্যমন্ত্রী চিঠিতে প্রধানমন্ত্রীকে লেখেন, ‘কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আমি হতবাক এবং ব্যথিত। এতে স্বাধীনতা সংগ্রামীদের অপমান করা হয়েছে। বিষয়টি পুনর্বিবেচনার আর্জি জানাচ্ছি আপনাকে। বাংলা দেশের স্বাধীনতা সংগ্রামে অগ্রণী ভুমিকা নিয়েছিল। তাই কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে বাংলা মানুষে ব্যথিত হয়েছেন।’
কেবল মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নয়, বাংলার ট্যাবলো নিয়ে প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরী পর্যন্ত আজ চিঠি লিখেছেন প্রতিরক্ষা মন্ত্রী রাজনাথ সিংকে। সেখানে বলা হয়েছে বাংলার ট্যাবলো বাদ দেওয়া মানে পশ্চিমবঙ্গকে অপমান করা।