লোকসভা নির্বাচনের সাতটি দফার মধ্যে তিনটি দফা ইতিমধ্যেই সম্পন্ন। বাকি আরও চারটি দফা। আগামিকাল ১৩মে চতুর্থ দফার ভোট রয়েছে দেশজুড়ে। ১০টি রাজ্য ও একটি কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলে ৯৬টি লোকসভা কেন্দ্রে হবে ভোটগ্রহণ। এরমধ্যে পশ্চিমবঙ্গে আটটি আসনে রয়েছে ভোট। ১৩ মে ভাগ্য নির্ধারণ হবে এরাজ্যের বেশ কয়েকজন হেভিওয়েট প্রার্থীর।
এই তালিকায় রয়েছেন- অধীর চৌধুরী, দিলীপ ঘোষ, মহুয়া মৈত্ররা। এই দফায় সবথেকে বেশি অন্ধ্রপ্রদেশে ২৫টি কেন্দ্রে ভোট গ্রহণ করা হবে। অন্যদিকে, জম্মু ও কাশ্মীরের মাত্র একটি কেন্দ্রে রয়েছে ভোট। এছাড়া- বিহারের – ৫, ঝাড়খণ্ডের- ৪, মধ্যপ্রদেশ-৮, মহারাষ্ট্র-১১, ওড়িশা- ৪, তেলেঙ্গানা- ১৭, উত্তরপ্রদেশ- ১৩টি কেন্দ্রেও ভোট রয়েছে এদিন।
বঙ্গের ৫ জেলায় রয়েছে ৮টি কেন্দ্র। মোটা ৭৫ জন প্রার্থী রয়েছেন। এই চতুর্থ দফায় যে হেভিওয়েট প্রার্থীদের ভাগ্য নির্ধারণ করবেন জনসাধারণ, সেই হেভিওয়েট প্রার্থীরা হলেন, অধীর চৌধুরী- কংগ্রেস – বহরমপুর (পশ্চিমবঙ্গ), মহুয়া মৈত্র – তৃণমূল কংগ্রেস- কৃষ্ণনগর (পশ্চিমবঙ্গ), দিলীপ ঘোষ- বিজেপি- বর্ধমান দুর্গাপুর (পশ্চিমবঙ্গ), শত্রুঘ্ন সিংহ – তৃণমূল কংগ্রেস- আসানসোল (পশ্চিমবঙ্গ), গিরিরাজ সিংহ – বিজেপি- বেগুসরাই (বিহার), অখিলেশ যাদব – সমাজবাদী পার্টি- কনৌজ (উত্তরপ্রদেশ), ওয়াই এস শর্মিলা – কংগ্রেস- কড়পা (অন্ধ্রপ্রদেশ), অর্জুন মুণ্ডা – বিজেপি- খুন্তি (ঝাড়খণ্ড), মাধবীলতা- বিজেপি- হায়দরাবাদ (তেলেঙ্গানা) প্রমুখ।
প্রসঙ্গত, চতুর্থ দফায় রাজ্যে ৫৭৮ কোম্পানি আধাসেনা মোতায়েন করবে নির্বাচন কমিশন। তার মধ্যে আসানসোলে ৮৮ কোম্পানি, মুর্শিদাবাদে ৭৩ কোম্পানি, বীরভূমে ১৩০ কোম্পানি, কৃষ্ণনগরে ৮১ কোম্পানি, পূর্ব বর্ধমানে ১৫২ কোম্পানি এবং রানাঘাটে ৫৪ কোম্পানি কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন হবে।