কৌশিক দাস, কলকাতা, ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা: Leftist Leader Md. Salim in Rampurhat রাজ্য সম্পাদক হয়েছেন এখনও এক সপ্তাহ হয়নি। এরই মধ্যে চালিয়ে ব্যাট করতে শুরু করলেন মহম্মদ সেলিম। মঙ্গলবার সকালেই রামপুরহাটের বগটুই গ্রামের নৃশংস হত্যাকাণ্ডের কথা জানতে পারেন রাজ্যবাসী। আতঙ্কে ‘থ’ হয়ে যায় সবাই। এরপরই গণহত্যার সেই গ্রামে যাওয়ার সিদ্ধান্ত নেন সিপিএমের নতুন রাজ্য সম্পাদক মহম্মদ সেলিম।
মঙ্গলবার রাতেই বিমান বসুকে নিয়ে বীরভূম পৌঁছে যান তিনি। সোমবার সকাল দশটা নাগাদ বগটুই গ্রামে যাওয়ার কথা ছিল সেলিম-বিমানদের। কিন্তু সিপিএম নেতাদের কাছে খবর যায় মানুষের প্রাণ বাঁচাতে না পারলেও পুলিশ এই মুহূর্তে গোটা গ্রামের সীমানা ঘিরে রেখেছে, যাতে বিরোধীরা সেখানে প্রবেশ করতে না পারে। বিপুল পরিমাণ সরকারি বাহিনী মোতায়েন করা হয়েছে। জানতে পেরেই মুহূর্তের মধ্যে কৌশল বদলান মহম্মদ সেলিম। Leftist Leader Md. Salim in Rampurhat
সিপিএমের কেন্দ্রীয় কমিটির সদস্য তথা প্রাক্তন সাংসদ রামচন্দ্র ডোমকে নিয়ে বাইকে চেপে গ্রামের ‘চোরা পথ’ ধরে সেলিম পৌঁছে যান গণহত্যার বগটুইয়ে। সেলিমরা যে এইভাবে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করবে তা বুঝতেও পারেনি রাজ্য প্রশাসন। শাসক দলও বিষয়টি নিয়ে প্রস্তুত ছিল না। আসলে ক্ষমতা হারানোর পর থেকে সিপিএম নেতাদের এইরকম জঙ্গি আন্দোলনের পথে হাঁটতে দেখা যায়নি। তাই মনে করেছিল দলবেঁধে সকলে মিলে গ্রামে ঢোকার চেষ্টা করবেন সেলিমরা এবং পুলিশ বাধা দিলে সেখানে বাক-বিতণ্ডার পর তাঁরা ফিরে এসে সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দেবেন। কিন্তু মহম্মদ সেলিম যে দলকে অন্য পথে চালনা করার চেষ্টা করছেন তা প্রমাণ হয়ে গেল। এক্ষেত্রে বিরোধী নেত্রী থাকাকালীন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের একের পর এক ‘মুভমেন্ট’কে মনে পড়িয়ে দিলেন তিনি। নন্দীগ্রাম হোক বা কেশপুর, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে ঠিক এই ভাবেই কখনও ঘুরপথে আবার কখনও গোপনে দলীয় কর্মীদের বাইকে চেপে অকুস্থলে পৌঁছে যেতে দেখা যেত। এদিন মহম্মদ সেলিমও তাই করেন। Leftist Leader Md. Salim in Rampurhat
বগটুইয়ে পৌঁছে যে দু-চার জন গ্রামবাসীকে সামনে পান তাঁদের সঙ্গে বেশ কিছুক্ষণ কথা বলেন সেলিম। এই সময় সংবাদ মাধ্যমকে দূরে সরিয়ে ব্যক্তিগতভাবে কথা বলার চেষ্টা করেন, জেনে নেন অনেক তথ্যও।
Leftist Leader Md. Salim in Rampurhat
————
Published by Subhasish Mandal