ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা
Karnataka Hijab Controversy
কর্ণাটক :কর্ণাটকের একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে হিজাব নিষিদ্ধের ঘটনায় পরিস্থিতি ক্রমশ উতপ্ত হচ্ছে। শিমোগায় একটি কলেজে ছাত্রীদের হিজাব পরা বন্ধ করার পর পরিবেশ উত্তপ্ত হয়ে ওঠে। হিজাবের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ জানিয়ে গেরুয়া দোপাট্টা জড়িয়ে একদল পড়ুয়া হিজাব পরা ছাত্রীদের বিরুদ্ধে জয় শ্রীরাম ধ্বনি দিতে শুরু করে। পাল্টা হিজাব পরিহিত মুসলিম পড়ুয়াকে বলতে শোনা যায় আল্লাহ আকবর। তাঁকে ঘিরে ধরে জয়শ্রীরাম শ্লোগান দিতে শুরু করে একদল পড়ুয়া।
বিষয়টি এতটাই উত্তাপ ছড়িয়েছে যে বাগালকোটে কিছু দুষ্কৃতী ঢিল ছোড়ে। বিক্ষোভকারীদের ছত্রভঙ্গ করতে পুলিশকে লাঠিচার্জও করতে হয়েছে। একই সঙ্গে কলেজে তেরঙা পতাকা নামিয় গেরুয়া পতাকা লাগিয়ে দেন এক যুবক। এই ভিডিও সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল হওয়ার পর পরিস্থিতি আর ও জটিল হয়ে পড়ে। পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে প্রশাসন ১৪৪ ধারা জারি করেছে। অন্যদিকে কর্ণাটক সরকার মঙ্গলবার আগামী তিন দিনের জন্য উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বন্ধ ঘোষণা করেছে। যদিও পুলিশের উচ্চ আধিকারিক জাতিয়েছেন জাতীয় পতাকা খুলে নেওয়ার ঘটনা ঘটেনি।
তিন দিনের জন্য উচ্চ বিদ্যালয় ও কলেজ বন্ধ Karnataka Hijab Controversy
একটি টুইট বার্তায়, মুখ্যমন্ত্রী বাসভরাজ বোমাই বলেছেন: “আমি সমস্ত ছাত্র, শিক্ষক এবং স্কুল ও কলেজের ব্যবস্থাপনার পাশাপাশি কর্ণাটকের জনগণকে শান্তি ও সম্প্রীতি বজায় রাখার জন্য আবেদন করছি। আমি আগামী তিন দিনের জন্য সমস্ত হাই স্কুল ও কলেজ বন্ধ রাখার নির্দেশ দিয়েছি। সংশ্লিষ্ট সকলকে সহযোগিতা করার জন্য অনুরোধ করা হচ্ছে।”
I appeal to all the students, teachers and management of schools and colleges as well as people of karnataka to maintain peace and harmony. I have ordered closure of all high schools and colleges for next three days. All concerned are requested to cooperate.
— Basavaraj S Bommai (@BSBommai) February 8, 2022
কর্ণাটক হাইকোর্টে মামলা দায়ের Karnataka Hijab Controversy
এদিকে কর্ণাটক হাইকোর্টের বিচারপতি ও ছাত্র ও জনগণকে শান্তি ও শৃঙ্খলা বজায় রাখার আবেদন জানিয়েছেন। কয়েকজন পড়ুয়ার মামলার আবেদনের শুনানি শেষে বিষয়টি নিয়ে পরবর্তী শুনানির জন্য বুধবার নির্ধারিত করা হয়েছে। বিচারপতি কৃষ্ণ এস দীক্ষিতের সিঙ্গল বেঞ্চে, “কলেজ প্রাঙ্গনে ইসলামিক বিশ্বাস অনুসারে হিজাব পরা সহ প্রয়োজনীয় ধর্মীয় অনুশীলন অনুশীলন করার মৌলিক অধিকার রয়েছে”। কিনা সে বিষয়ে মামলার শুনানি হয়। শুনানির সময় বিচারপতি বলেন সাধারণ মানুষকে ভারতীয় সংবিধানের প্রতি আস্থা রাখতে হবে, বিচারপতি দীক্ষিতের মতে কিছু দুষ্টু লোকই বিষয়টিকে জ্বলন্ত রাখছে। আন্দোলন, স্লোগান এবং ছাত্রদের একে অপরের ওপর হামলা ভালো কিছু নয় বলেও উল্লেখ করেন তিনি।
বিতর্কের কারণ Karnataka Hijab Controversy
কর্ণাটকের উডুপিতে, ৬ মুসলিম ছাত্রীকে হিজাব পরে ক্লাসে প্রবেশ করতে নিষেধ করা হয়েছিল। কলেজ কর্তৃপক্ষের বক্তব্য, আমরা যখন কলেজের জন্য ড্রেস কোড নির্ধারণ করেছি, তখন শিক্ষার্থীরা কেন তা মানছে না। ইউনিফর্ম না পরলে শিক্ষার্থীদের ক্লাসে বসতে দেওয়া যাবে না। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে কলেজের বাইরে বিক্ষোভ শুরু করেন মুসলিম শিক্ষার্থীরা।
অন্যদিকে কয়েকজন ছাত্র গেরুয়া রঙের পোশাক পরে হিজাবের বিপক্ষে বিক্ষোভ শুরু করে। পরিস্থিতি বেগতিক দেখে সেখানে পুলিশ মোতায়েন করা হয়। বিষয়টি আদালত পর্যন্ত গড়িয়েছে। হিজাব মামলাটি কর্ণাটক হাইকোর্টে বিবেচনাধীন রয়েছে, তবে আদালতের বাইরে এই বিষয়টি এতটাই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে যে প্রশাসনকে 144 ধারা জারি করতে হয়েছে। অন্যদিকে মুসলিম পড়ুয়াদের বক্তব্, তাদের হিজাব পরা থেকে বিরত রাখা তাদের মৌলিক অধিকারের ওপর আঘাতের শামিল।
Karnataka Hijab Controversy
Publish by Monirul Hossain