হরিয়ানার কর্নাল সংশোধনাগারের বন্দিদের হাইটেক করার উদ্যোগ নেওয়া হয়েছে। সাজা শেষ হওয়ার পর যাতে তাঁরা স্বাবলম্বী হতে পারেন তার জন্য তাদের কম্পিউটার শিক্ষা দেওয়া হচ্ছে। বন্দিদের অপরাধ থেকে বের করে তাদের মূল স্রোতের সঙ্গে যুক্ত করতে চাইছে প্রশাসন। ২১ বন্দিকে ইতিমধ্যেই প্রশিক্ষণ দেওয়া শুরু হয়েছে, পরে এই সংখ্যা বাড়ানো হবে। বর্তমানে জেলা সংশোধনাগারে কয়েক হাজার বন্দি আটক রয়েছে। এর মধ্যে মহিলারা ও রয়েছে। এখন কম্পিউটার প্রশিক্ষণের পাশাপাশি বন্দিদের আরও অনেক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। রাজ্যের একটি কারিগরি ও শিল্প প্রশিক্ষণ ইনস্টিটিউট কারাগারের কয়েদিদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। কারাগারে কম্পিউটার শেখানোর জন্য এই সংস্থার পক্ষ থেকে একজন প্রশিক্ষকও দেওয়া হয়েছে। এ জন্য কারাগারের লাইব্রেরিতে কম্পিউটার বসানো হচ্ছে।
স্বাক্ষর বন্দিদেরই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে ( Karnal Jail Inmates Will Run Computers)
কম্পিউটার শিখে বন্দিরা স্বাবলম্বী হতে পারবে এবং জেল থেকে বের হয়ে এই দক্ষতার জোরে যে কোনও জায়গায় চাকরি করতে পারবে। শুধুমাত্র স্বাক্ষর বন্দিদেরই কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। ডিএসপি অশোক কাম্বোজ জানান, জেলের প্রশাসনিক বিভাগ বন্দিদের জন্য কম্পিউটার কোর্স চালু করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে।একই সঙ্গে তিনি সাধারণ মানুষের কাছে এই বার্তা দিতে চান যে কীভাবে কারাগারে বন্দিরাও সমাজ ও নিজেদের উন্নয়নে কাজ করছেন।
সংশোধনাগারের লাইব্রেরিতে বসানো হয়েছে কম্পিউটার (Karnal Jail Inmates Will Run Computers)
বন্দিদের জন্য শিক্ষার দ্বার সম্পূর্ণরূপে উন্মুক্ত করার প্রস্তুতি চলছে। চেষ্টা হচ্ছে বিভিন্ন অপরাধে সাজাপ্রাপ্ত বন্দিরা যেন ভবিষ্যতে অন্যায় কাজ এড়িয়ে পড়াশোনায় ব্যস্ত থাকে। তারা যদি তাদের অপরাধের সাজা ভোগ করে পড়া-লেখা করে বেরিয়ে আসে, তাহলে তাদেরও সঠিক জীবনযাপনের সুযোগ রয়েছে। প্রতিষ্ঠানটির উদ্দেশ্য হল বন্দীদের শিক্ষার পাশাপাশি প্রযুক্তিগত জ্ঞান প্রদান করা যাতে তাদের মানসিক ও বুদ্ধিবৃত্তিক বিকাশও ঘটে। কারাগারে থাকা অবস্থায় বন্দিদের ব্যবসার কাজ করতে হয়। যাতে তাদের নির্দোষ নির্ভরশীলরা সহজে রক্ষণাবেক্ষণ করতে পারে এবং কারাগার থেকে বেরিয়ে আসার পর তাদেরও আত্মকর্মসংস্থানের যথেষ্ট সুযোগ রয়েছে। প্রশিক্ষণ শেষে বন্দিরা কম্পিউটারে দক্ষ হয়ে উঠবে।
(Karnal Jail Inmates Will Run Computers)
প্রথম পর্যায়ে কারাবন্দিদের কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। একই সঙ্গে আগামী সময়ে আরও অনেক বৃত্তিমূলক প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। যাতে বন্দিরা কারাগার থেকে বের হয়ে কর্মসংস্থানের সুযোগ পায়। জেল সুপার অমিত ভাদু জানিয়েছেন, মাত্র ২১ জন বন্দিকে কম্পিউটার প্রশিক্ষণ দেওয়া হবে। এ জন্য সংশোধনাগারের লাইব্রেরিতে কম্পিউটার বসানো হচ্ছে।