ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, নতুন দিল্লি: Jahangirpuri Violence দিল্লি পুলিশ ১৬ এপ্রিল দিল্লি জাহাঙ্গিরপুরী হিংসার ঘটনায় একই পরিবারের পাঁচজন এবং এক নাবালককে গ্রেফতার করেছে। এ পর্যন্ত মোট ২৩ জনকে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং এই ঘটনার সাথে জড়িত সন্দেহে দুই কিশোরকেও গ্রেফতার করা হয়েছে। এই হিংসার ঘটনায় আট পুলিশকর্মী এবং একজন নাগরিক-সহ নয়জন আহত হয়। দিল্লি পুলিশ এই হিংসার ঘটনায় ‘উভয় সম্প্রদায়ের’ লোকদের গ্রেফতার করেছে।
অভিযুক্তদের পরিচয় Jahangirpuri Violence
যাদের গ্রেফতার করা হয়েছে তারা ‘একটি বিশেষ সম্প্রদায়ের’। সেই পরিবারের পুরুষদের গ্রেফতার করেছে পুলিশ। অভিযুক্তরা হলেন সুকেন সরকার, তার ভাই সুরেশ সরকার, সুকেনের দুই ছেলে নীরজ ও সুরজ এবং সুকেনের শ্যালক সুজিত। সুকেনের নাবালক ছেলেকেও আটক করেছে পুলিশ। গ্রেফতারের পর সুকেনের স্ত্রী দুর্গা সরকার গণমাধ্যমকে বলেন, আমার স্বামী, শ্যালক, তিন ছেলে ও আমার ভাইকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা সবাই নির্দোষ।
ভাইয়ের মাথায় আঘাত লেগেছে Jahangirpuri Violence
দুর্গা জানান যে তারা মিছিলে রথে ছিল এবং তাদের উপর পাথর ছোড়া হয়। আমার স্বামীর দিকে ইট ছুড়ে মারা হয়েছে। তার ভাই মাথায় গুরুতর আঘাত পেয়েও হনুমানের মূর্তিটিকে রক্ষা করেছেন। দুর্গা জানিয়েছেন যে, তার স্বামী বাড়িতে এসে বলে যে ‘অন্য সম্প্রদায়ের’ লোকেরা প্রথমে তার সাথে তর্ক শুরু করে এবং তারাও পাথর ছুড়তে শুরু করে। তিনি বলেন, ‘আমার স্বামী প্রাণ বাঁচাতে ওই জায়গা থেকে পালিয়ে গেছে। তিনি একটি ছোট চাকরি করেন এবং আমার ছেলে দ্বাদশ শ্রেণিতে পড়ে। তার বোর্ড পরীক্ষা আছে। তাকে মুক্তি না দিলে তার জীবন ধ্বংস হয়ে যাবে।’
ষড়যন্ত্রের অভিযোগে অভিযুক্ত Jahangirpuri Violence
দুর্গার অভিযোগ, আরও বড় ষড়যন্ত্রের। তিনি বলেন, ‘কেন শুধু আমার পরিবারের সদস্যদের গ্রেফতার করা হল? এসময় অন্যান্য লোকজনও সেখানে উপস্থিত ছিলেন। এটা একটা ষড়যন্ত্র, আমার পরিবারের সদস্যদের মুক্তি চাই।’ গ্রেফতার হওয়া সুজিতের স্ত্রী মিনু বলেন, ‘আমার স্বামীকে পুলিশ গ্রেফতার করেছে। মিছিলে রথ টানছিলেন তিনি।’
মিনু বলেন, ‘মিছিলে বাধা দেওয়ার সাথে সাথে ‘অন্যান্য সম্প্রদায়ের’ শত শত মানুষ তলোয়ার নিয়ে মিছিলে হামলা চালায়। আমার স্বামী কোনওরকমে প্রাণ বাঁচাতে দৌঁড়ে পালায়।’ মিনুর মতে, তাঁর স্বামী পাথর নিক্ষেপে অংশ নেননি।
Jahangirpuri Violence
————
Published by Subhasish Mandal