এবার সব ভাষাতেই দেশের নাম ‘ইন্ডিয়া’ থেকে ‘ভারত’ হওয়ার পথে? সংসদের বিশেষ অধিবেশনের আগে নতুন জল্পনা। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যমের দাবি, সরকার আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর সংসদের বিশেষ যে অধিবেশন ডেকেছে, তাতে দেশের নাম বদলের প্রস্তব পেশ করা হতে পারে।
এই জল্পনা শুরু হয়েছে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে রাষ্ট্রপতির তরফে যে আমন্ত্রণপত্র তৈরি হয়েছে, সেখানে ইংরেজিতে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ইন্ডিয়া’র পরিবর্তে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’ লেখা নিয়ে। যা নিয়ে নতুন করে রাজনৈতিক তরজা শুরু হয়েছে। রাইসিনা হিলের তরফে রাজ্য এবং কেন্দ্রশাসিত অঞ্চলগুলিকে জি-২০ সম্মেলন উপলক্ষে আমন্ত্রণপত্র পাঠানো হয়েছে। ৯ সেপ্টেম্বর আয়োজিত সম্মেলনের নৈশভোজের আমন্ত্রণপত্র পাঠিয়েছে রাষ্ট্রপতি ভবন। সেখানেই লেখা হয়েছে ‘প্রেসিডেন্ট অফ ভারত’।
যা নিয়ে প্রবল আপত্তি জানাচ্ছে কংগ্রেস। কংগ্রেস নেতা জয়রাম রমেশ টুইট করেছেন, “সংবিধানের ২ নং অনুচ্ছেদে সাফ বলা রয়েছে, ‘ভারত অর্থাৎ ইন্ডিয়া, রাজ্যের সমষ্টি হিসেবে বিবেচিত হবে’। কিন্তু সেই যুক্তরাষ্ট্রের উপরই আঘাত হানা হচ্ছে।” যার পালটা আবার এসেছে বিজেপির তরফ থেকে। বিজেপি সভাপতি জেপি নাড্ডা জবাব দিয়েছেন। তিনি বলেছেন,”আপনারা ভারত জোড়ো যাত্রা করতে পারেন। দেশের নামে রাজনীতি করতে পারেন। তাহলে ভারত শব্দে আপত্তি কেন? আসলে কংগ্রেস এই দেশকে সম্মানই করে না। দেশের প্রতি ওদের কোনও ভালবাসা নেই।”
উল্লেখ্য যে, আগামী ১৮ সেপ্টেম্বর থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত সংসদে বিশেষ অধিবেশনের ডাক দিয়েছে কেন্দ্র। কিন্তু ওই বিশেষ অধিবেশনে কোন কোন বিষয় নিয়ে আলোচনা হবে সে ব্যাপারে এখনও পর্যন্ত মুখ খোলেনি মোদি সরকার। এক সর্বভারতীয় সংবাদমাধ্যম সূত্রের দাবি, ওই বিশেষ অধিবেশনেই দেশের নাম বদলের প্রস্তাব পেশ করা হবে। কিন্তু হঠাত কেন দেশের নামবদলের তোড়জোড়? বিরোধী জোটের নাম INDIA হওয়ার জেরেই কি এই সিদ্ধান্তের পথে হাঁটছে মোদি সরকার।