ইন্ডিয়া নিউজ বাংলা, কলকাতা, History for Lata Mangeshkar ১৯৬২ সালের নভেম্বর। ভারত-চিন যুুদ্ধের আবহে উত্তপ্ত পরিস্থিতি সীমান্ত জুড়ে। যুদ্ধে শহীদ হয়েছেন বেশ কিছু ভারতীয় জওয়ান। এই যুদ্ধের ঠিক দুমাস পরে ছিল ১৯৬৩ সালের প্রজাতন্ত্র দিবস। দিল্লির ন্যাশনাল স্টেডিয়ামে প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন তৎকালীন রাষ্ট্রপতি ড.সর্বপল্লি রাধাকৃষ্ণন এবং প্রধানমন্ত্রী জওহরলাল নেহরু। সেই অনুষ্ঠানে রাষ্ট্রপতি ও প্রধানমন্ত্রীর উপস্থিতিতে ভারত-চিন যুুদ্ধে শহীদ সেনাদের উদ্দেশ্যে লতা মঙ্গেশকর প্রথমবার গেয়ে ওঠেন ‘অ্যায় মেরে ওয়াতন কি লোগো’। সেই থেকে আজ পর্যন্ত গানটি দেশাত্মবোধকে একটি অনন্য মাত্রা দিয়ে আসছে।
সিগারেট ফয়েলের প্যাকেটে লেখা হয় ইতিহাসের History of Lata Mangeshkar
গানটি প্রথমে গাওয়ার কথা ছিল আশা ভোঁসলের। পরে ঠিক হয় লতা ও আসা ডুয়েট করবেন গানটি। কিন্তু শেষ মুহূর্তে আসা ভোঁসলে গানটি করতে রাজি না হওয়ায় লতা মঙ্গেশকর একাই করেন গানটি। জন্ম হয় ইতিহাসের। এই গানটির সঙ্গে যুক্ত কেউ কোনও পারিশ্রমিক নেননি। সকলেই নিজেদের পারিশ্রমিক দান করেছিলেন বীর শহিদদের পরিবারের জন্য তৈরি ফান্ডে। কবি প্রদীপ রামচন্দ্র নারায়ণজি দ্বিবেদি, বোম্বাইয়ের (বর্তমানে মুুম্বই) মহিম সমুদ্রতটে হাঁটার সময়, একজনের থেকে পেন ধার করে সিগারেট ফয়েলের প্যাকেটে লিখেছিলেন গানটির প্রথম অনুচ্ছেদ। মূলত শহীদ সেনাদের উদ্দেশ্যে গানটি তিনি লিখেছিলেন। যেটি আজ একটি মাইলফলক।
আরও পড়ুন : Lata Mangeshkar property ২৫ টাকা পারিশ্রমিকের বিনিময়ে ১৩ বছর বয়সে শুরু হয়েছিল পথচলা
আরও পড়ুন : When Lata raised funds for 1983 WC winners বোর্ডের কাছে টাকা ছিল না লতা অনুষ্ঠান করে পুরস্কার অর্থ তুলেছিলেন
_____
Published by Julekha Nasrin