‘এক দেশ এক ভোট’ (One Nation, One Election) নিয়ে উত্তাল দেশ। বিরোধীদের বিরোধিতার মাঝেই মঙ্গলবার এই বিল পেশ হয়। এদিনও লোকসভায় সরকার এবং বিরোধীদের মধ্যে মতানৈক্য দেখা যায়। তবে বিরোধীদের ‘ডিভিশনে’র দাবি মেনে বিল নিয়ে ভোটাভুটি সম্পন্ন হয়। সংসদের নিম্নকক্ষে শাসকজোটের সাংসদ সংখ্যা ২৯৩। সংসদে সংখ্যাগরিষ্ঠতার জন্য ২৭২ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন প্রয়োজন হয় এবং সরকার এই বিলে ২৬৯ জন সংসদ সদস্যের সমর্থন পায়। যার অর্থ, এই ভোটাভুটিতে সংখ্যাগরিষ্ঠতা ছুঁতে পারেনি সংসদ কম থাকায়। আর এই বিষয়টাকেই গুরুত্ব দিয়ে দেখছে বিজেপি।
কারা অনুপস্থিত ছিলেন?
মঙ্গলবার বিজেপির ২০ জন সাংসদ অধিবেশন কক্ষে উপস্থিত ছিলেন না বলে জানা যায়। এঁদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলেন নীতিন গডকরি, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, শান্তনু ঠাকুর, গিরিরাজ সিং, জগন্নাথ সরকার সহ আরও অনেকে।
অথচ, মঙ্গলবার লোকসভায় হাজির থাকা এবং ‘এক দেশ এক নির্বাচন’ বিল (One Nation, One Election) নিয়ে আলোচনায় অংশ নেওয়ার জন্য বিজেপির তরফে আগেই দলীয় সাংসদের হুইপ জারি করা হয়েছিল। তা সত্ত্বেও এতজন অনুপস্থিত ছিলেন এদিন। কিন্তু কেন তাঁর উপস্থিত ছিলেন না তা পরবর্তী সময়েও স্পষ্ট হয়নি। সূত্রের খবর, দল অনুপস্থিত সাংসদদের কারণ দর্শানোর নোটিস ধরাতে পারে।
আরও পড়ুন: লোকসভায় পেশ হতে চলেছে ‘One Nation, One Election’ বিল
প্রসঙ্গত, মঙ্গলবার সংসদে পেশ করা দু’টি বিল কবে আইনে পরিণত হবে, কবে থেকে কার্যকর হবে, তা নিয়ে ধোঁয়াশা রয়েছে। ইতিমধ্যেই সংসদের যৌথ কমিটিতে সংশোধনী বিল নিয়ে আলোচনার জন্য পাঠানো হয়েছে বলে জানা গিয়েছে।